ময়দানে ফের দুঃসংবাদ। চলে গেলেন তিন প্রধানে খেলা তারকা ফুটবলার নরিন্দর থাপা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হন জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ চিরিচ মিলোভানের অন্যতম প্রিয় ফুটবলার। তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও পাওয়া যায়নি। ৬০-র গণ্ডি পেরোনোর আগেই নরিন্দরের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা ময়দান।
লড়াকু ফুটবলার হিসেবেই ময়দানে ময়দানে পরিচিত ছিলেন তিনি। সতীর্থরা তাঁকে ম্যান মার্কিংয়ের মাস্টার বলতেন। ফরয়ো রাইট উইং, মিডল হাফেও খেলতে পারতেন। পঞ্জাবের বাসিন্দা হলেও তিনি বাংলায় চলে আসেন। তিন প্রধানের জার্সিতে তো খেলেছেনই। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল উজ্জ্বল।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। ফেডারেশন সচিব সুনন্দ ধর বলেছেন, ‘উনি নেই এটা জানতে পেরে ভীষণ খারাপ লাগছে। উনি নিজের সময়ে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। একাধিক প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা এই তারকার ভারতীয় ফুটবলে অবদান ভোলার মতো নয়। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
১৯৮৬ সালে বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতেছিলেন নরিন্দর। তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানে দাপিয়ে খেলেছেন তিনি। ফেডারেশন কাপ, রোভার্স কাপ, আইএফএ শিল্ডও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৯৮৩ সালে ভারতের হয়ে অভিষেকের পর জাতীয় দলের হয়ে ২৯টি ম্য়াচ খেলে তিনটি গোল করেছিলেন নরিন্দর। ১৯৮৪ সালে গ্রেট ওয়াল কাপে বেজিংয়ে আলজিরিয়ার বিরুদ্ধে তিনি একমাত্র গোল করেছিলেন। আর তাঁর গোলেই আফ্রিকার সেই শক্তিশালী দেশকে হারিয়েছিল ভারত।
এদিকে ফুটবলারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি শোকবার্তায় জানান, বৃহস্পতিবার বেশি রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন তারকা নরিন্দার থাপা।
১৯৮৪ সালে তিনি মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা থেকে এসেছিলেন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। তারপর জাতীয় দলের পাশাপাশি সুনামের সঙ্গে খেলেছেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং এফসিআই দলে। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত।
লড়াকু নরিন্দার থাপার মৃত্যু বাংলা ফুটবলের এক অপরিসীম ক্ষতি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।
Be the first to comment