সরানো হয়েছে চার লক্ষের বেশি মানুষকে। মানবসম্পদ বাঁচানো গেলেও, আমফানের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি পড়তে হবে দুই বাংলাকেই। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার বোঝা গেল সাইক্লোন আমফানের শক্তি কতটা ভয়াবহ। সামনে এল নাসার উপগ্রহচিত্র।
এই ছবিটি ১৯ মে ভারতীয় সময় রাত ন’টা নাগাদ তুলেছে নাসার টেরা স্যাটেলাইট। মডারেট রেজোলিউশান ইমেজি স্পেরট্রোরেডিওমিটারের সাহায্যে ব্রাইটনেস ও টেম্পারেচারের তথ্য সংগ্রহ করে তৈরি করা হয়েছে এই ছবিটি। ছবিটি যখন তোলা হয়েছে তখন যাবতীয় শক্তি সঞ্চয় করে রাজ্যের দিকে অভিমুখ ফেরাচ্ছিল আমফান। আন্তর্জাতিক আবহবিদরা বলছেন, ১৮ মে এই ঝড় ক্যাটাগরি ৫-এ ছিল। আচমকা শক্তি সংগ্রহের ফলে ক্যাটাগরি ৩-এ পৌছেছে এই ঝড়।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আমফানের তাণ্ডব। ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে সুন্দরবনের অন্তর্গত অঞ্চলগুলিতে। উপকূলে শুরু হয়েছে তীব্র জলোচ্ছ্বাস। আলিপুর আবহওয়া দফতর জানিয়েছে, এই ঝড়ের গতিবেগ ১৬৫-১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
এক্সট্রিম সিভিয়ার সাইক্লোন বা অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ চলবে। উত্তরবঙ্গেও অতিভারী বৃষ্টিপাত শুরু হতে চলেছে বৃহস্পতিবার।
Be the first to comment