জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দেওয়া হলো। ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই সাংসদ মহম্মদ আকবর লোন ও হাসনায়েন মাসুদি এই পিটিশন ফাইল করেন। আবেদনে দুই সাংসদ কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া এই পদক্ষেপকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন কাশ্মীরের কয়েকশো রাজনৈতিক নেতাও। ৫০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন উপত্যকায়।
ন্যাশনাল কনফারেন্স দাবি করেছে যে সংবিধানের আওতায় জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এটা বাতিল হওয়া অসাংবিধানিক। তাছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভারও সম্মতি নেওয়া হয়নি। তাই রাষ্ট্রপতির আদেশ সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। যদিও সরকার আগেই জানিয়েছে, রাজ্য যেহেতু রাষ্ট্রপতির শাসনে ছিল। তাই জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার ক্ষমতা সংসদের উপর ন্যাস্ত ছিল এবং রাজ্যের পক্ষে কথা বলার ক্ষমতা ছিল।
আবেদনে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নিজেই ক্যাবিনেটের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছিলেন। সুতরাং এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ একই সংবিধানিক কার্যকারীর নিজস্ব সম্মতি গ্রহণের সমতুল্য। আর এই সিদ্ধান্তে একটা মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন হচ্ছে। আর তা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা তাদের প্রতিনিধিদের পরামর্শ বা সম্মতি নেওয়া হয়নি। এটি স্বেচ্ছাচারিতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী। আবেদনে আরও বলা হয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর (পুনর্গঠন) আইন, যার অধীনে এই রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে তা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। সংবিধান সংসদকে বিপরীত দিকে গিয়ে একটি রাজ্যকে পুনরায় কেন্দ্রশাসিত করতে অনুমতি দেয় না।
Be the first to comment