দাউদ যোগে গ্রেফতার করা হল এনসিপি নেতা নবাব মালিককে। ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করল ইডি। বুধবার সকালেই নবাব মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। তারপর ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জেরার জন্য দফতরের দিকে নিয়ে যান। কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নবাবকে নিজেদের দফতরে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ এনসিপি নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সকাল ৮ টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অবশেষে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহারাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এনসিপি নেতা নবাব মালিককে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এনসিপি নেতা নবাব মালিক দাউদের সংযোগীদের সঙ্গে লেনদেন এবং জমি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। ইডি জানিয়েছে তদন্তের ক্ষেত্রে তিনি কোনও সহযোগিতা করেননি এবং এড়িয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এই মামলায় ইডি দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারের বাড়িতে অভিযান চালান এবং তাঁকে হেফাজত নেওয়া হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন নবাব মালিকের কেনা কিছু সম্পত্তির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাধি সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের চলতে থাকা চাপা লড়াইয়ের মধ্যে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন ৬২ বছরের মন্ত্রী নবাব মালিকের।
ইডির দফতরে নবাব মালিকের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন এনসিপি কর্মীরা দক্ষিণ মুম্বইতে পার্টির প্রধান কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে স্লোগানও তোলেন। এই কার্যালয় ইডির দফতরের খুব কাছেই অবস্থিত। বিক্ষোভের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে দলের মুখপাত্র সঞ্জয় তাতকারে বলেছেন, “প্রতিবাদটি নবাব মালিকের অন্যায্য জিজ্ঞাসাবাদের বিরুদ্ধে কারণ তিনি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিজেপি-এনসিবি-সিবিআই-ইডি নেক্সাস প্রকাশ্যে আনছেন। আমরা হতাশ হব না। এনসিপি বিজেপি এবং সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে উন্মোচন করতে থাকবে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে বারবার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
Be the first to comment