প্রাক্তন পাক প্রাধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং তাঁর কন্যার জামিন না-মঞ্জুর করে সে দেশের আদালত। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জালালাবাদের আদিয়ালা জেল থেকে স্থানান্তরিত করা হবে তাঁদের। নিয়ে যাওয়া হবে ইসলামাবাদের সিহালা পুলিস ট্রেনিং কলেজে রেস্ট হাউজে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি।
উল্লেখ্য, ইসলামাবাদের চিফ কমিশনার আগেই নওয়াজ় এবং মারিয়মকে স্পেশ্যাল ভাবে রাখার জন্য এই রেস্ট হাউজকে সাব-জেল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। নওয়াজ়ের ভাই শাহবাজ় শরিফ আদিয়ালা জেলের অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন। তিনি জানিয়েছেন, নওয়াজ়ের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি জেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে প্রথম দিনই শরিফ কন্যা মারিয়ম জেল থেকে ‘বিশেষ সুবিধা’ নিতে অস্বীকার করেন। এমনকী আলাদা করে বরাদ্দ রেস্ট হাউজে যাওয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দেন তিনি। স্বভাবতই জল্পনা তৈরি হচ্ছে, মারিয়ম তাঁর বাবার সঙ্গে আদৌ এই রেস্ট হাউজে যাবেন কি-না!
প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর কন্যাকে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার জেরে দোষী সাব্যস্ত করে পাক আদালত। নওয়াজ় শরিফকে ১০ বছরের জেল এবং ৮০ লক্ষ পাউন্ড জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মারিয়ম শরিফকে ৮ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। তাঁকেও ২০ লক্ষ পাউন্ড জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, একই মামলায় নওয়াজ়ের জামাই তথা মারিয়মের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মহম্মদ সফদার দোষী সাব্যস্ত হয়ে আদিয়ালা জেলেই রয়েছেন। তাঁর এক বছরের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রাজনৈতিক পরিসরে নওয়াজ় এবং তাঁর কন্যা জেলে থাকায় কার্যত ব্যাকফুটে তাদের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। জেল থেকে বেরিয়ে পরোক্ষভাবে ভোটের প্রচার চালানোর জন্য শরিফ জামিনের আবেদন চেয়েছিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। কিন্তু সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় পরবর্তী শুনানির আগে কোনও জামিন পাবে না শরিফ এবং তাঁর কন্যা।
Be the first to comment