অনাস্থা ভোটের আগেই উত্তপ্ত পাকিস্তানের রাজনীতি। সেই আঁচ পৌঁছল লন্ডনেও। শনিবার লন্ডনের হামলার মুখে পড়েন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানের এক সাংবাদিক টুইটারে এই দাবি জানান। অভিযোগ, লন্ডনের রাস্তায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর চড়াও হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এক সমর্থক। হামলায় নওয়াজ শরিফ বিশেষ চোট না পেলেও, তাঁর দেহরক্ষী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আহমেদ নুরানী নামক ওই সাংবাদিক পাকিস্তানের ফ্যাক্ট ফোকাস সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন। শনিবার টুইটারে তিনি দাবি করেন, যে লন্ডনের একটি রেস্তরাঁর সামনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপরে হামলা চালায় পিটিআই-র এক সমর্থক। তবে পুলিশ এসে সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীকে আটকানোয়, জল বেশিদূর এগোয়নি। তবে নওয়াজ শরিফের দেহরক্ষী আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
হামলার খবর শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নওয়াজ শরিফের কন্য়া মারিয়াম। যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের জেলে ঢোকানোর দাবি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও হিংসায় উসকানি ও দেশদ্রোহিতার অভিযোগে আটক করা উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
টুইটে মারিয়াম বলেন, “পিটিআইয়ের যে সমস্ত সমর্থকরা হিংসার পথ বেছে নিয়েছেন বা আইন-শৃঙ্খলাকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে জেলের গরাদের পিছনে পাঠানো উচিত। ইমরান খানকেও ছাড়া উচিত নয়। তাঁকেও হিংসায় উসকানি ও দেশদ্রোহিতার জন্য আটক করা উচিত। ইনশাহ আল্লাহ, কাউকে ছাড়া হবে না।”
উল্লেখ্য, আজই পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হবে। যদি বিরোধী দল জয়ী হয়, তবে নওয়াজ় শরিফের ভাই শেহবাজ় শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। ইতিমধ্যেই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। ৩৪২ সদস্যের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ইমরান খানের প্রয়োজন ১৭২টি ভোট। তবে সূত্রের খবর, কেবল বিরোধীরাই নয়, তার দলের একাধিক সদস্যও অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধেই ভোট দিতে পারেন।
Be the first to comment