নিউ আলিপুরে রঙের কারখানা ভস্মীভূত। দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে চারদিক। পাশের ঝুপড়িগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে দমকলের সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রাথমিক পর্যায়ে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জন্মেছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
সকাল ৮টা নাগাদ আগুন লাগে কারখানায়। ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেসময় কারখানার ভিতর কেউ ছিলেন কিনা, তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন না। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন,কারখানার বাইরে সেসময় তিন জন ছিলেন কর্মী, যাঁরা আগুন লাগার পরই পালিয়ে যান। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে জল এনে নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। যান কলকাতা পুলিশের ডিআইজি, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরাও।
কী থেকে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখবে দমকল। তবে তার আগে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। শহরে কেন বারবার আগুন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে থাকতে পারে কেমিক্যাল ফ্য়াক্টরি, আদৌ ওই কারখানায় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ট্যাংরার চামড়ার গুদামে আগুন লাগে। সেই আগুনও বিধ্বংসী চেহারা নেয়।
Be the first to comment