মন্ত্রিসভায় শুধু রদবদল নয়, আনা হল একাধিক নতুন মুখ। যাঁদের নাম ছিল জল্পনায় তাঁদের মধ্যে অনেকেই জায়গা পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায়। তাঁদের মধ্যে কেউ প্রথম থেকে তৃণমূলে রয়েছেন, আবার কেউ কেউ দলবদল করে এসেছেন ঘাসফুল শিবিরে। তবে নতুন দায়িত্ব পেয়ে খুশি সেই বিধায়কেরা। কোন দফতর পাবেন, তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। নেত্রী যে ভরসা করেছেন, এতেই খুশি মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা।
দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার দীর্ঘ দিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এ দিন শপথ গ্রহণের পর তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যতিক্রমী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজে যে কোনও জনকল্যাণকর প্রকল্পের কাজ নিজে দেখাশোনা। তিনি যে সব প্রকল্পের পরিকল্পনা দেন, তা আমরা চেষ্টা করি রূপায়িত করার। কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন প্রদীপ মজুমদার। কৃষি নিয়ে কাজও করেছেন দীর্ঘদিন। কৃষি দফতর তাঁর হাতে আসতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে তা নিয়ে চিন্তিত নন দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক।
নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে নিয়েও জল্পনা ছিল। রাজনৈতিক মহলে অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত পার্থ। ২০১১ সালের পর থেকে পরপর বিধায়ক হলেও কখনই মন্ত্রী করা হয়নি তাঁকে। এবার জায়গা পেলেন মন্ত্রিসভায়। তিনিও এদিন বলেন, নেত্রী ভরসা করেছেন, তিনি যে দায়িত্ব দেবেন, সেটাই নেব। সেটাই নিষ্ঠা সহকারে পালন করব।
এবারের মন্ত্রিসভায় আরও এক নতুন সদস্য হলেন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনিও এ দিন স্পষ্ট জানান, নেত্রীর আদর্শ অনুযায়ী দল করেন তিনি। তাঁর ভাবনা অনুযায়ীই কাজ করবেন। দফতর যাই হোক না কেন, মানুষের জন্য কাজ করাটাই সবথেকে বড় বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উত্তরবঙ্গের বিধায়ক উদয়ন গুহও এবার জায়গা পেলেন মন্ত্রিসভায়। শপথের পর তিনি বলেন, অখণ্ড বঙ্গ ধরে রাখার জন্য যা যা করার দরকার তাতে আছি। তিনি আরও বলেন, দল ভরসা রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভরসার পূর্ণ মর্যাদা দেব।
তবে কে কোন দফতর পাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর বন্টন হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
Be the first to comment