নিউটাউনে আইনজীবীর মৃত্যু মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট, রজত দে-র গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে ৷ অনুমান সরু তার জাতীয় বস্তু দিয়ে শ্বাসরোধ হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ যদিও ঘটনাস্থলে পুলিসের তদন্তকারী অফিসাররা কোনও দড়ি বা তার পাননি। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর মৃত্যুর চারদিন পরে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে পুলিস ৷ মৃত রজতকুমার দে-র বাবা সমীরকুমার দের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী অনিন্দিতা দে, শ্যালক অভীক পাল, শ্বশুর অলোক পাল ও শাশুড়ি শ্রাবণী পালের নামে নিউটাউন থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগেও একবার বিয়ে হয় অনিন্দিতার। রজতের সঙ্গে তাঁর প্রায়দিনই ঝগড়া হত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ঘটনার দিনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়। যদিও পারিবারিক অশান্তির কথা অস্বীকার করেছেন অনিন্দিতা। তাঁর, দাবি ঘটনার দিন সন্ধেয় তাঁরা রেস্তোরাঁয় খেতে যান।
শুক্রবার, অভিযুক্তদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিউটাউন থানার পুলিস। শনিবার গভীর রাতে নিউটাউনের ডিবি ব্লক থেকে আইনজীবী রজত কুমার দে-কে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখান থেকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ এরপরই রজতের বাবা সমীর কুমার দে পুলিসের কাছে খুনের অভিযোগ করেন ৷ রজতের স্ত্রী, শ্যালক, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে নিউটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ বিধাননগর আদালতে তিনি আবেদন করেছিলেন রজতের ময়নাতদন্ত যাতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হয় এবং ভিডিওগ্রাফি করা হয় ৷
রজত কুমার দে-র তিনটি মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস ৷ বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস। আবাসনে গিয়ে তদন্ত করেন ফরেন্সিক আধিকারিকরাও।
Be the first to comment