পল মৈত্র, বিশেষ প্রতিবেদন
২০২০-কে বরণ করে নিতে বিশ্বের নানাপ্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বর্ণিল আলোয় সাজানো হয়েছে বিভিন্ন শহর। উৎসব আয়োজনে কমতি নেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রাজিলসহ নানা দেশে। ইতোমধ্যে দেশগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক পর্যটকও নতুন বছর বরণ করতে উপস্থিত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় এক জোট হওয়ার বার্তা তাদের কণ্ঠে।যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের কেন্দ্রস্থল ম্যানহাটনের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ারে এভাবেই নতুন বছরের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় আয়োজকদের। দিনের আলোয় রঙিন বল টেস্ট করা হলেও উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায় সড়কের আশপাশে।
একজন বলেন, মানুষ খুব কম সময়ই পায় আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য। আমরা চাই, সবাই আনন্দের সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করে নিক। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুন ভালোবাসার বার্তা। এ বছর আমরা মানবতার কথা বলব। এছাড়া গত বছরের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিরসনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও থাকবে।টাইমস স্কয়ার এলাকাটি এমনিতেই রঙ-বেরঙয়ের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জ্বার কারণে সুখ্যাত। নববর্ষের আমেজে বাড়তি সাজসজ্জায় বেড়েছে সৌন্দর্যের মাত্রা। এছাড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর।জার্মানির বার্লিনে নতুন বছরকে বরণ করতে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। শহরটির ব্রান্ডডেনবার্গ গেটে থাকছে সবচেয়ে বড় আয়োজন।
এখন শপিং মলগুলোতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারছেন স্থানীয়রা।ফ্রান্স ঢেকে গেছে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে। নববর্ষ বরণে যেকোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দেশব্যাপী ১ লাখ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একজন বলেন, গেল বছরগুলোর বড় বড় সন্ত্রাসী হামলা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা চলতি বছর কঠোর হতে বাধ্য হয়েছি। আশা করি সবাই সুষ্ঠুভাবে এবং নির্বিঘ্নে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পারবেন।প্রস্তুত যুক্তরাজ্যও। ব্রিটেনেরে বিগ ব্যান টাওয়ারের ঘড়ির ঘণ্টা বাজিয়ে রাত ১২টায় উৎসবে মাতবেন সাধারণ মানুষ।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরিওতে হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র সৈকতে অবস্থান নিয়েছেন। সমুদ্রের স্নিগ্ধ হাওয়া গায়ে মেখে নতুনকে বরণ করবেন তারা। বিপুল সংখ্যক পর্যটকও অংশ নিয়েছেন এতে। এছাড়া সারাদেশে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।ইউরোপ, আমেরিকার মতো এশিয়ার দেশগুলোতেও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আয়োজনের কমতি নেই।নতুন বছর ২০১৯ সালকে বরণে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি।
এরই ধারাবাহিকতায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। নববর্ষকে উপলক্ষে চীনের বেইজিংয়ে এক মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান হয়েছে। নিউইয়র্কে টাইমস স্কয়ারে প্রতি বছরের মতো এবারও একটি স্বচ্ছ বলের পরীক্ষা চালানো হয়েছে।এদিকে, নতুন বছরকে বরণ করে নিতে হকি খেলায় মেতে উঠেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া ব্রাজিল পেরুসহ বিভিন্ন জায়গায়ও ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।ঠান্ডা উপেক্ষা করেই নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে চলছে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে প্রস্তুতি দেখছেন উৎসুক জনতা।
নববর্ষের অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ আইকনিক বলের শেষবারের মতো পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করা হয়েছে। ১২ হাজার পাউন্ডের বলটিতে রয়েছে কয়েক হাজার আলোর বাতি। টাইম স্কয়ারের বর্ণিল আয়োজনের মতোই নতুন বছরে নিজেদের জীবনে রাঙাতে চান সবাই।ইংরেজি বছরকে বরণ করে নিতে উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে চীনেও। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বেইজিংয়ের এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংসহ হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে ওই অনুষ্ঠানে। সেখানে নাচ, গানসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তারা।
ইংরেজি বছরের আগমন উপলক্ষে বরফের মধ্যে হকি খেলায় মেতে উঠেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সইগুসহ আরও অনেকে। স্থানীয় সময় রোববার মস্কোর রেডস্কায়ারে এ প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নেন। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, সত্যি এটি দারুণ এক খেলা। নতুন বছর উদযাপনের জন্য এটি যথার্থ সময়। আশা করছি নতুন বছরটি সবার ভালো কাটবে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় দীর্ঘ সাত বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পর এখন কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। তবে দেশটির সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা নতুন বছরে ধ্বংসজ্ঞ অবকাঠামো পুর্নগঠনের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।এই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তৈরি সুদুর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আবালবৃদ্ধবনিতারা। রাত ১২ টা বাজলেই সকলে বর্ষবরনে মেতে উঠবে। পাশাপাশি নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে পিকনিকে মজেছেন আবালবৃদ্ধবনিতা।
আবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। অন্যদিকে, আজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেস ক্লাবে বর্ষবরন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সারা জেলাবাসী এক রোমাঞ্চকর সময় অতিবাহিত করবে তা বলাই বাহুল্য।
Be the first to comment