কৃষ্ণাঙ্গ এক তরুণীকে মাটিতে ফেলে তার কোল থেকে শিশুসন্তানকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে নিউ ইয়র্কের পুলিশ। জোর করে আলাদা করে দিচ্ছে মায়ের থেকে শিশুকে। অসহায় মা বারণ করছেন, কাঁদছেন, কিন্তু পুলিশ গায়ের জোর দেখিয়েই যাচ্ছে। শেষে ওই তরুণীকে শায়েস্তা করার জন্য টেজ়ার গানও (বিপজ্জনক অপরাধীকে সাময়িক ইলেকট্রিক শক দিয়ে নিরস্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়) বার করে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিনিট দুয়েকের এই ভিডিও অন্তত দু লক্ষ বার দেখেছেন মানুষ। শেয়ার হয়েছে অজস্র। নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে। তরুণী কৃষ্ণাঙ্গ বলেই কি এই হেনস্থা, এই ভাবে টার্গেট করা আর কতকাল সহ্য করবে মানুষ–উঠেছে এই সব প্রশ্ন। এটাই আমেরিকার আসল রূপ, এ কথাও বলেছেন কেউ কেউ।
ঘটনাটি গত শুক্রবারের। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের একটি সরকারি অফিসে গিয়েছিলেন জ্যাসমিন হেডলি নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী। সঙ্গে ছিল তাঁর এক বছরের ছেলে। ওই সরকারি অফিসটি তাঁদের জন্য যাঁরা দরিদ্র ও সরকারি সাহায্য যাঁদের প্রয়োজন। জ্যাসমিনের শিশুর জন্য একটি ডে-কেয়ারের ব্যবস্থা করা দরকার ছিল। কিন্তু অফিসে তখন এত ভিড় যে ওই তরুণী ফাঁকা কোনও চেয়ার পাননি। ফলে তিনি মেঝেতেই ছেলে কোলে নিয়ে বসে পড়েন। এর পরেই শুরু হয় ঝামেলা। ওই অফিসের এক কর্মী এসে তরুণীকে উঠে যেতে বলেন। তাতে রাজি না হলে দুজনে তর্কাতর্কি বেধে যায়। পুলিশ ডাকেন ওই কর্মী। পুলিশ এসেই মাটিতে বসে থাকা জ্যাসমিনকে জোর করে তুলে দিতে চেষ্টা করে। কেড়ে নিতে যায় তার কোলের সন্তানকে।
ওই অবস্থায় ভি়ডিও তোলেন সেখানে উপস্থিত থাকা এক জন। তাতে দেখা যায় মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন তরুণী। আঁকড়ে রয়েছেন সন্তানকে। কিন্তু নির্মম ভাবে ছোট্ট শিশুটিকে মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই ভিডিও সামনে আসতে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে প্রবল তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছে। চাপে পড়ে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।
Be the first to comment