প্রচন্ড গতিতে হাইওয়ের পথ ধরেছিল একটা লিমুজিন। যাত্রীরা সবাই হাসতে হাসতে, গান গাইতে গাইতে যাচ্ছেন। বিয়েবাড়ি ফেরত সব যাত্রীদের মুখে তখন খুশির রেশ। আচমকাই ছন্দ পতন। অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা। নিমেষে ভেঙে, তুবড়ে যায় অভিজাত লিমুজিন গাড়িটি। ভিতরে তখন রক্তাক্ত যাত্রীরা মৃত্যুুুর কোলে ঢোলে পড়েছেন। শনিবার দুপুরে নিউ ইয়র্কের স্কোহেরি কাউন্টির এই দুর্ঘটনাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন কাউন্টির পুলিশ কর্তারা।
নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, আলবানি শহর থেকে ৩০ মাইল পশ্চিমে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হাইওয়ে ধরে দক্ষিণপশ্চিমে প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল ২০০১ ফোর্ড এক্সকারশন লিমুজিনটি। স্কোহেরির ‘অ্যাপল ব্যারেল কান্ট্রি স্টোর’-এর সামনেই একটি টয়োটা হাইল্যান্ডারের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট ক্রিস্টোফার ফিয়োরে জানিয়েছেন, স্টোরের সামনে যেখানে দু’টি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেক ক্রেতা।মারা গিয়েছেন তাঁদের অনেকেই। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে অন্তত ২০ জনের। জখম বহু।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির চালক-সহ সব যাত্রীদেরই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের সদস্যেরা। স্কোহেরি টাউনের সুপারভাইজার অ্যালান টাভেন্নারের কথায়, “এমন ভয়ানক দুর্ঘটনা বিগত কয়েক বছরে ঘটেনি। সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে বেরোন অনেকেই। গাড়ির যাত্রীরা ছাড়াও প্রাণ গিয়েছে স্টোরের অনেক ক্রেতারই। এটা খুবই দুঃখজনক। ”
প্রত্যক্ষদর্শী ওই স্টোরের ম্যানেজার জেসিকা কার্বি জানিয়েছেন, চোখের সামনে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা দেখে তাঁর হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। লিমুজিনের ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কী অবস্থা, ভাল করে বুঝতেই পারেননি জেসিকা। বুঝতে পারেননি অন্য গাড়িটার কী অবস্থা বা সেটির যাত্রীরা কী ভাবে রয়েছেন। তিনিই প্রথম পুলিশকে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানান। জেসিকা জানিয়েছেন, এই সময় নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ জার্সি থেকে প্রচুর লোকজন স্কোহেরিতে ছুটি কাটাতে আসেন। এমন ঘটনায় গোটা শহর জুড়েই এখন শোকের ছায়া।
Be the first to comment