মৃত্যু আসন্ন হলে সবারই বুক কাঁপে, আর সে মৃত্যু যদি সর্বোচ্চ সাজা হয় তাহলে তো কথাই নেই। যে চার ধর্ষক ২০১২-এর ১৬ ডিসেম্বর জঘন্যতম অপরাধ করেছিল, মৃত্যুর বাণী শুনে কাঁদলো তারাও।
এর আগে একাধিকবার মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে গেছে নির্ভয়ার চার আসামির। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত একপ্রকার যেন নিশ্চিন্তেই ছিল তারা। কিন্তু, জেলকর্তারা আসামিদের, তারা তাদের পরিবারের নামে কোনও সম্পত্তি বা অন্যকিছু রাখতে চায় কিনা, জানতে চাওয়ায় নিজেদের মৃত্যু সম্পর্কে সচেতন হয় চার আসামি। আর তখন থেকেই মৃত্যুভয় গ্রাস করে তাদের।
জানা গিয়েছে, ফাঁসির আগের রাতে খাবার মুখে তোলেনি নির্ভয়ার দুই অপরাধী পবন ও অক্ষয়। মুকেশ ও বিনয় তাদের শেষ রাতের খাবার খেয়েছে। এমনকি সূত্রের খবর, তিহাড়ের কর্তব্যরত কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পবন ও বিনয়। সঙ্গে মৃত্যুভয় গ্রাস করে পবন ও অক্ষয়কেও।
তাদের মানসিক ভাবে শান্তি দিতে ডাকা হয় এক পরামর্শদাতাকে। গীতা থেকে পড়ে শোনানো হয় আত্মা অবিনশ্বর, তার মৃত্যু হয় না। মৃত্যুভয়ে উদ্বিগ্ন ছিল তারা।
শুক্রবার সাড়ে ৪ টে নাগাদ চার অভিযুক্তকে দেওয়া হল নতুন কুর্তা-পাজামা। জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের শেষ ইচ্ছা। ৫ টা ১২ নাগাদ ফাঁসি নেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। সাড়ে ৫ টার কিছু আগেই তাদের হাত মুখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। সাড়ে পাঁচটায় দেওয়া হয় চরম সাজা।
তিহার জেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, জেলের ইতিহাসে চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্ভয়ার মা। তবুও দেরিতে হলেও বিচার পাওয়াতে খুশি নির্ভয়ার মা। আগামিদিনেও যাতে মহিলারা বিচার পান সেই আশা রাখেন।
Be the first to comment