শুধুমাত্র নির্ভয়া নয়, আজকের দিনটা দেশের সব মেয়েদের জন্য ৷ বললেন নির্ভয়ার বাবা ৷ দীর্ঘ সাত বছর পর দোষীরা শাস্তি পেল ৷ দেরিতে হলেও দোষীরা সাজা পাওয়ায় খুশি নির্ভয়ার বাবা ৷ তিনি বললেন, “আজ দেশের সব মানুষ বলবে, নির্ভয়া ন্যায় বিচার পেয়েছে ৷ আমাদের আইনজীবী সর্বক্ষণ আমাদের পাশে ছিলেন ৷ আমরা আজ জিতেছি, কারণ আমরা ন্যায়ের পথে ছিলাম ৷”
নির্ভয়ার মা বলেন, তাঁর মেয়ের বিচার পেতে দেরি হয়েছে ৷ ভবিষ্যতে যেন এরকম না হয় । মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের আইনগত প্রতিকার পাওয়ার প্রক্রিয়াটির সময় সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত ৷ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কিউরেটিভ পিটিশন ও প্রাণভিক্ষার আর্জি দোষীরা যেন একসঙ্গে করে, পৃথকভাবে নয়, তা সুনিশ্চিত করার জন্য তিনি লড়াই চালাবেন , আবেদন করবেন ৷
দোষিদের সাজা পাওয়ায় তিনি বললেন, “আমি আমার মেয়ের জন্য গর্বিত ৷ মানুষ আমায় আজ নির্ভয়ার মা হিসেবে চেনে ৷ আজ যদি আমার মেয়ে বেঁচে থাকত তবে হয়ত একজন ডাক্তারের মা হিসেবে সাধারণ মানুষ আমাকে চিনত ৷ আজ আমার একজন মা হওয়ার ধর্ম পূর্ণ হয়েছে ৷ “
সালটা ২০১২ ৷ ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে প্যারা মেডিকেলের বছর ২৩- এর ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছয়জন ৷ তারপর পাশবিক অত্যাচারের পর ফেলে দেওয়া হয় চলন্ত বাস থেকে ৷ শুরু হয় মরণ বাঁচনের লড়াই ৷ প্রথমে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতাল তারপর সিঙ্গাপুর হাসপাতালে ৷ এরপর ২২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় দোষীদের ৷ ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যায় নির্ভয়া ৷
এরপর থেকেই চলছে বিচারকার্য ৷ অন্যতম দোষী রাম সিং তিহার জেলেই আত্মহত্যা করে ৷ জুভেনাইল জাস্টিস কোর্টে তিন বছরের সাজা পায় এক অভিযুক্ত ৷ ২০১৬ সালে বাকি চারজনের ( মুকেশ সিং, অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা ) মামলার শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে ৷ এরপর কেটে যায় আরও চার বছর ৷ শোনানো হয় মৃত্যুদণ্ডের সাজা ৷ এরপর বহুবার মৃত্যুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয় কোর্টে ৷ একাধিকভাবে মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশের চেষ্টা করে চার দোষ ।
Be the first to comment