পিয়ালি আচার্য,
“দিদিকে বলো” কর্মসূচী রূপায়ণে প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন দিদির অনুগামী জনপ্রতিনিধিরা। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোপরি তাদের সকলের প্রিয় দিদি নিবিড় জনসংযোগের কথা বলেছেন জনপ্রতিনিধিদের। ঘোষণার পরের দিন থেকেই পথে নামে তৃণমূলের হেভিওয়েট থেকে সাধারন স্তরের সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। মন্ত্রীরাও বাড়িতে বসে নেই। মন্ত্রক সামলেও যতটুকু সময় পান ছুটে যাচ্ছেন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে। রাতের খাবার খাচ্ছেন দলীয় কর্মী বা যেকোনও সাধারন মানুষের বাড়িতে। রাতে থাকছেনও তাদের বাড়িতে। গৃহকর্তা-গৃহিণীও বেজায় খুশি। চলছে গল্প, আড্ডা।
গত শুক্রবার ২ আগস্ট প্রথম কোনও মন্ত্রী “দিদিকে বলো” কর্মসূচীতে রাত্রিবাস করলেন এলাকার মানুষের বাড়িতে। মন্ত্রীটি হলেন ডাঃ নির্মল মাজি। ডাক্তার পরিবারের সন্তান নির্মল দিদির একান্ত অনুগত। ছাত্রাবস্থা থেকেই দিদিকে অনুসরণ করে প্রথমে কংগ্রেস ও পরে তৃণমূল কংগ্রেস করেন। একটি দিনের জন্যও দিদিকে ছেড়ে যাননি। প্রথমে বিধায়ক ও পরে মন্ত্রী হন নির্মল। ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করায় অভ্যস্ত তিনি। তায় আবার দিদির নির্দেশ। এমনিতেই নির্বাচনী কেন্দ্রে যান তিনি। এবার নৈশাহার ও রাত্রিবাস করে জনসংযোগে আরও গতি আনলেন।
নির্মলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দিদির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাত পেড়ে খাওয়াই শুধু নয়, অনেক রাত অবধি জমিয়ে আড্ডাও চলে। সকালের চা ও প্রাতরাশটি না খাইয়ে ছাড়েন নি গৃহকর্তা। গৃহিণীর অনুরোধ দুপুরের খাওয়া না খেয়ে গেলে গৃহস্থের অকল্যান হবে। মন্ত্রী নির্মল মাজির এই উদ্যোগের বিবরণ শুধু নয়, ছবিও নীচে দেওয়া হলো।