প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথেই আর্থিক সংস্কারের প্রথম দফার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্র্রী নির্মলা সীতারামন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবংকুটির শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি।
এদিন নির্মলা জানান, স্বয়ংক্রিং ভাবে এই ঋণ বরাদ্দ করা হবে এই এমএসএমই ক্ষেত্রের জন্য। ঋণের শর্ত হিসেবে বলা হয়, ২৫ কোটি টাকার বকেয়া রয়েছে, এবং ১০০ কোটি টাকার লেনদেন এমন যে কোনও সংস্থা ঋণ পাবে। এর জন্য কোনও গ্যারেন্টি ফি লাগবে না।
একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, খারাপ অবস্থায় আছে এমন ২ লক্ষ ছোট ও মাঝারি সংস্থা ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবে। সিজিটিএমএসই-কে দেওয়া হবে ৪ হাজার কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ৫০ হাজার কোটি টাকার ইকুয়িটি বিনিয়োগ বে সম্ভাবনাময় সংস্থার ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করার জন্য। নির্মলার মতে, এতে ক্ষমতা বাড়াতে পারবে ছোট সংস্থাগুলি। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পকে ৪ বছরের জন্য ঋণ দেওয়া হবে৷ এছাড়া ঋণ পরিশোধে ১ বছরের মোরাটোরিয়াম দেওয়া হবে৷
এ দিন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞাতেও পরিবর্তন আনেন নির্মলা সীতারামন। বিনিয়োগ ১ কোটি থেকে মোট লেনদেন ৫০০ কোটি হলেও সেই সংস্থাকে মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি বলেই ধরা হবে জানান তিনি।
নির্মলা জানাচ্ছেন, স্বনির্ভরতা অর্জনের ধাপ হিসেবে, ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত কোনও বিষয়ে গ্লোবাল টেন্ডার দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ও সরবহরাহকারী সংস্থাগুলির জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের রেল-সড়ক বা অন্য কোনও কন্ট্রাকটারের জন্য ছ’মাস সময় দেওয়া হবে জন্য সময় দেওয়া হবে। রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রে কোনও আবেদন ছাড়াই প্রোজেক্ট রেজিস্ট্রেশনের তারিখ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে টিডিএস ও টিসিএস-এ ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, এদিন জানিয়েছেন নির্মলা সীতারামন।
Be the first to comment