নিজের রান্নায় পিঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে রাধুঁনিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ভারত সফরে এসে এই কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এবার অনেকটা সেই পথে হাঁটলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ভারতের অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেন, তিনি নিজে খুব কম পিঁয়াজ খাওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে দাম বৃদ্ধির কোনও প্রভাব পড়েনি।
পিঁয়াজ কিনতে গিয়ে এখন জল আসছে চোখে । বাজারে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ। বিদেশে পিঁয়াজ রপ্তানি এখন বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। মধ্যবিত্তের পকেটেও টান পড়ছে। আর এই সমস্যা সমাধানে এখনও কোনও উপায় বের করতে পারেনি সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে রান্নায় কম পিঁয়াজ দিতে গরিব ও মধ্যবিত্তকে কার্যত পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বুধবার লোকসভায় তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনও প্রভাব পড়েনি। আমাদের পরিবারে পিঁয়াজ অপরিহার্য সবজির মধ্যে পড়ে না কারন আমি পিঁয়াজ আর রসুন খুব কম খাই। আমি যে পরিবার থেকে এসেছি তাতে পিঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধিকে আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছি না।
সীতারমনের এই মন্তব্যের পর লোকসভা ও রাজ্যসভায় হাসির রোল ওঠে। এক সাংসদ মন্তব্য করেন ,বেশি পিঁয়াজ খেলে শরীরে অস্বস্তি হয়। সংসদে যখন এই ঘটনা ঘটছে সেই সময় অর্থমন্ত্রী সীতারমন পিঁয়াজের অগ্নিমূল্য রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ ব্যখ্যা করছিলেন। ইতিমধ্যে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। স্টক লিমিট কমানো হয়েছে। বিদেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিঁয়াজ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পিঁয়াজ পৌঁছানোর উপর জোর দিয়েছেন সীতারমন।
এছাড়া মুনাফা লোভি দালাল চক্র বা ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কলকাতায় ইতিমধ্যে পিঁয়াজের দাম ১৮০ টাকা ছুঁতে যাচ্ছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে খেত থেকে পিঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটছে। এক চাষি জানান, তাঁর খেত থেকে ৩০ হাজার টাকার পিঁয়াজ চুরি হয়েছে। এজন্য অনেকে ক্ষেতে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
Be the first to comment