সম্প্রতি একাধিক দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বাংলা। সিবিআই, ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার রাজ্যের একাধিক নেতামন্ত্রী। তা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের শাসকদলকে কালিমালিপ্ত করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। পালটা অভিযোগ খারিজও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে ইডি’কে দরাজ সার্টিফিকেট নির্মলা সীতারমণের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করে বলেই দাবি তাঁর।
ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। শনিবার সফরের শেষ দিনে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন। কথাবার্তার মাঝে উঠে আসে ইডি’র প্রসঙ্গ। আর এরপরই ইডি’র রীতিমতো প্রশংসা করেন নির্মলা। তিনি বলেন, “ইডি সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি সংস্থা। প্রথমে সিবিআই বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করে। তারপর তার তদন্তভার ইডি’র কাছে আসে। ইডি’র কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও থাকে। আর তারপর কোথাও নগদ টাকা কিংবা কোথাও গয়নাগাটি উদ্ধার হয়।”
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ, গরু পাচার এবং কয়লা পাচার মামলায় তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত জুলাইয়ের শেষে এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হন বাংলার একসময়ের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি’র হাতেই গ্রেপ্তার হন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দু’টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা, গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নামে ও বেনামে থাকা পার্থর সম্পত্তিও চোখে যেন ধাঁধা লাগাচ্ছে সকলের।
তারপরই আগস্টে সিবিআইয়ের হাতে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। রাজনৈতিক মহলের মতে, একের পর এক নেতামন্ত্রীর গ্রেপ্তারি যথেষ্ট ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূলকে। তাই বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রায় প্রত্যেক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতায় ‘ক্ষুব্ধ’। তারা বারবার ইডি, সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আর নির্মলার সার্টিফিকেটর পর কার্যত বিরক্ত রাজ্যের শাসক শিবির।
নির্মলাকে পালটা জবাব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “নির্মলা সীতারমণের কথাতেই স্পষ্ট ইডি, সিবিআই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই কাজ করছে। কাজে খুশি হওয়ায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নির্মলা।”
Be the first to comment