দিল্লি, ওড়িশা ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুপস্থিতিতেই শুরু হল নীতি আয়োগের বৈঠক।কেজরিওয়ালের অভিযোগ তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের চতুর্থ বৈঠক নিয়ে সরগরম দিল্লির রাজনীতি। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের চা চক্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠোমো তথা দিল্লির অচলবস্থার বিষয়টি তুলে ধরা হবে, বলে সূত্রের খবর।
বৈঠকে যোগ দিতে শনিবারেই দিল্লিতে পৌছান মমতা বন্দোপাধ্যায়। এসেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে অনুমতি দেননি উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”গণতন্ত্রে বিরোধী দলেরও মর্যাদা আছে। দিল্লি দেশের রাজধানী। ৪ মাস ধরে এখানে উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ৬ সেকেন্ডও সময় দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। বিদ্যুৎ, দূষণ বাড়লে ভুক্তভোগী হন সাধারণ মানুষই।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,”৪ মাস ধরে বিষয়টির সমাধান হচ্ছে না। রাজধানীতেই এই অবস্থা হলে দেশে কী হবে! উপরাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিলাম, আমরা অরবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে চাই। মৌখিকভাবেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেন। জেলবন্দিদেরও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। কিন্তু কেজরীবালের সঙ্গে আমাদের তো বটেই, শুনেছি, তাঁর স্ত্রীকেও দেখা করতে দিচ্ছে না!’’ সন্ধ্যা থেকে ৩-৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। যে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই সমস্যায় পড়লে পাশে দাঁড়াব।” দিল্লির অচলাবস্থা নিরসনে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হতে পারে।
Be the first to comment