সংরক্ষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার প্রস্তাব নীতীশ কুমারের

Spread the love

বিহারে প্রকাশ্যে এল জাতি সুমারির রিপোর্ট। মঙ্গলবারই বিধানসভায় সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তারপরই সংরক্ষণ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সংরক্ষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন নীতীশ কুমার। ওবিসি এবং ইবিসি ক্যাটেগরির জন্য এই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে তফসিলি জাতির জন্য যে ১৬ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে, তা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হবে। এছাড়া তফসিলি উপজাতি অর্থাৎ এসটি-র ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, এক্সট্রিমলি ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ও আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস-কে একসঙ্গে ৪৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। আগে মহিলাদের জন্য যে ৩ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম ছিল, তা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।
মঙ্গলবার বিহার বিধানসভায় দেশের প্রথম জাতিসুমারির সমীক্ষা পেশ করা হয়েছে। কোন শ্রেণি ও কোন বর্ণে কত মানুষ দরিদ্র তার হিসেব প্রকাশ পেয়েছে।

বিহারের জাতিসুমারিতে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিহারের মোট ১৩.১ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ইবিসি অন্তর্ভুক্ত ৩৬ শতাংশ মানুষ, ২৭.১ শতাংশ ওবিসি-র অন্তর্ভুক্ত, তফশিলি জাতিভুক্ত মানুষ রয়েছেন ১৯.৭ শতাংশ, তফশিলি উপজাতিভুক্ত ১.৭ শতাংশ। এছাড়া জেনারেল বা সাধারণ ক্যাটাগরির মানুষ রয়েছেন ১৫.৫ শতাংশ। এর থেকেই স্পষ্ট যে বিহারের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষই পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ওই রাজ্যের ৩৪ শতাংশ পরিবারের মাসে রোজগার ৬০০০ টাকা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*