জল্পনা সত্যি করে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। বুধবার দুপুর ২টোয় রাজভবনে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। আরজেডির তরফে টুইট করে এ কথা জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, আরজেডি ও জেডিইউ দুই দলের হাতেই থাকবে ১৪ জন মন্ত্রী। সেখানে কংগ্রেস পেতে পারে ৩ মন্ত্রী। এদিকে এদিন রাজভবনে গিয়ে নীতীশের সঙ্গেই লালুপুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের পরম্পরা কেউ নিতে পারবে না। আমরা নীতীশ কুমারের পাশাপাশি লালুজীকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সবাই চেয়েছিলাম বিহারে বিজেপির এজেন্ডা বাস্তবায়িত না হোক। আমরা সবাই জানি লালুজী আদবানিজীর ‘রথ’ থামিয়েছেন। বিহারের সেই ঐতিহ্য আছে।
বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে এবার ফের আরজেডির হাত ধরেছেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার বিকালেই খাতায়কলমে পদত্যাগের পর বিহারের নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে জোরদার চাপানউতর শুরু হয়ে যায়। এদিকে এর কিছু সময়ের মধ্যেই ফের লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে নিয়ে রাজভবনে যেতে দেখা যায় নীতীশকে। রাজ্যপালের কাছে জমা দেন ১৬৪ জন বিধায়কের তালিকা। দাবি জানান সরকার গঠনের। এদিকে বিহারের মহাগাঁটবন্ধনে ইতিমধ্যেই জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেসের পাশাপাশি বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার কখা বলেছে সিপিআইএমএল। সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা।
এদিকে বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দরকার ১২২টি আসন। বর্তমানে আরজেডির ৭৯, জেডিইউয়ের ৪৫, কংগ্রেসের ১৯ এবং ১৬ জন বাম বিধায়ক রয়েছেন। সূত্রের খবর, হামের চার জনও রয়েছেন নীতীশের পাশে। এই সংখ্যক সমর্থন পেয়ে গেলে খাতায় কলমে নীতীশের পক্ষে চলে আসবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তা হয়ে গেলে সরকার গঠনে কোনও সমস্যাই হওয়ার কথা নয়।
মঙ্গলবারই রাজভবনে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতীশ বলেন, “আমরা রাজ্যপালের কাছে ১৬৪ জন বিধায়কের একটা তালিকা জমা দিয়েছি। তারপরই তাঁর কাছে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছি।” এদিন নীতীশ আরও বলেন, “আমাদের কাছে ৭ পার্টির সমর্থন রয়েছে। সমর্থন রয়েছে ১ জন নির্দল বিধায়কের। তাঁরা যে আমাদের সমর্থন করছেন সেই চিঠিও রয়েছে।”
Be the first to comment