দিল্লির যে নিজামুদ্দিন এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে হৈচৈ এবং আতঙ্ক। আর সেই নিজামুদ্দিন ফেরত একেবারে ‘আত্মগোপন’ করে থাকা ১২ জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই এবং এই খবর চাউর হতেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের টিম যৌথভাবে অভিযান চালায় এই বিষয়ে। আর তা চালিয়ে গাইসাল এলাকা থেকে ওই ১২ জনকে খুঁজে বের করে তাদের পাঞ্জিপাড়াতেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখেছে। উল্লেখ্য, খোঁজ পাওয়া বারো জনের মধ্যে ছয় জনই মহিলা। তাঁদের বাড়ি আসানসোল এলাকায়।
ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কর জানিয়েছেন, “দিল্লির নিজামুদ্দিনের সভায় যোগ দিয়ে ওই ১২ জন গাইসলের স্থানীয় একটি মসজিদে লুকিয়ে আছেন বলে আমাদের কাছে খবর আসে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরের টিম গত শুক্রবার সেখানে তল্লাশি শুরু করে। সূত্রের খবর অনুযায়ী তাঁদের খোঁজও পাওয়া যায়। তবে তারা প্রত্যেকে এখন প্রাথমিকভাবে সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, নিজামুদ্দিনের সমাবেশে যোগ দেওয়া ও তাদের সংস্পর্শে আসা মোট ৩০৩ জনকে নিউটাউনের হজ হাউসে রাখা হল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহিলা আছেন ১২ জন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৩০৩ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ১৯৫ জন। বিদেশি আছেন ১০৮ জন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এরাজ্যে থেকে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও কলকাতা থেকে মূলত নিজামুদ্দিনের সমাবেশে গিয়েছিলেন। আর বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৯ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৩৪ জন, মায়ানমারের ২৫ জন, থাইল্যান্ডের ২১ জন, মালয়েশিয়ার ৯ জন রয়েছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ আগে টুইট করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাঁরা (দিল্লির তবলিঘি জামাত) এই জমায়েতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। অতি দ্রুত তাঁদের কোভিড পরীক্ষা করানো হবে এবং ১৪ দিনের জন্য তাঁদের আবশ্যিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে। তারপরই নিউটাউনের হজ টাওয়ারকে কোয়ারণটাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment