অমৃতা ঘোষ:-
আরজিকরের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের জেরে যেভাবে মানুষ রাত দখল অভিযান শুরু করেছেন সোমবার তার পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এইভাবে রাতের পর রাত প্রতিবাদের মিছিল হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এতে প্রবীণ মানুষদের অনেক অসুবিধা হতে পারে এবং শুধু রাত দখলে নামলেই হয় না তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশ কর্তৃপক্ষের। এইভাবে দিন প্রতিদিন রাত পাহারাতে ব্যস্ত থাকলে পুলিশ কর্মীরদের শহরের অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। আসন্ন দুর্গোৎসবের পুলিশের অনেক রকম কাজ থাকে। কোন অশান্তির ঘটনা ঘটলে সেখানে তাদের পৌঁছাতে হয়। কিন্তু তা নিত্য নৈমিত্তিক হতে পারে না। প্রশাসন সূত্রের খবর এইরকম রাত দখলের মিটিং মিছিল এর আড়ালে অনেক রাজনৈতিক দলগুলি তাদের নিজেদের ভিত গড়ে তুলছেন। প্রশাসনের দাবি ১৪ই আগস্ট যে প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছিল। এবং যে রাত দখল হয়েছিল সেই রকম স্বতঃস্ফূর্ত ভাব আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন এর পিছনে শুধুমাত্রই রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে। প্রশাসনের ও শাসকদলের মতে প্রতিনিয়ত এইভাবে মিটিং মিছিল করে সাধারণ মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। সূত্রের মতে নবান্নের এই কড়া নির্দেশের পরেই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন আগের থেকে কোনোভাবেই অনুমতি ছাড়া কোন রকম মিটিং মিছিল করা যাবে না। তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। নবান্নে নির্দেশেই এবার পুলিশ প্রশাসন কিছু করা পদক্ষেপ নিতে চাইছেন। তবে কড়া পদক্ষেপ মানে এই নয় যে সরকার গায়ের জোরে এই প্রতিবাদ আন্দোলন বন্ধ করবেন, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে যদি কোনোরকম মিটিং মিছিল এবং অচল অবস্থা রাস্তাঘাট অবরোধ করা হয় তাহলে সেই দিকে করা পদক্ষেপ নেবেন পুলিশ প্রশাসন।
Be the first to comment