মুর্শিদাবাদের ঘটনায় পুলিশে আস্থা নেই, ডিজির সাথে দেখা করার পর জানালেন সুকান্ত

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রায় ২ ঘন্টা রাস্তায় বসে ধর্ণা দেওয়ার পর ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের ডিজি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির অভিযোগ, হিংসা কবলিত এলাকায় গেলেও আক্রান্তদের সঙ্গে একবারও কথা বলেননি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। যদিও এদিন ভবানী ভবনে ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিজেপি।
বুধবার সন্ধেয় সুকান্ত মজুমদার ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে বলেন, “ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘরছাড়াদের কথা শুনেছেন। আইন অনুযায়ী সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে আমরা আশ্বাস পাইনি।” বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “ঘরছাড়ারা সরকারি ক্যাম্পে খাবারদাবার ঠিকমতো পাচ্ছেন না। একটা বিস্কুটও পাচ্ছে না। তাই বিজেপির তরফ থেকে ত্রাণ দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু তা ওরা দিতে দিচ্ছে না।” সুকান্তর দাবি, “আমি চাই পুলিশ নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ নিক কেন্দ্র। ৫-৬ রাজ্যে বদলি করা হোক। নইলে এক জায়গায় থেকে পুলিশ দুর্নীতিবাজ হয়ে যাচ্ছে।” সুকান্তর আরও দাবি, মুর্শিদাবাদের ওই অশান্ত এলাকায় একটি বিএসএফ ক্যাম্প ছিল। তাঁর অভিযোগ, চোরাকারবারের জন্য বিএসএফের ক্যাম্প তুলে দিয়েছে। আবার বিএসএফ ক্যাম্প খোলার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় আক্রান্ত বংশী মণ্ডল, সুরজিৎ মণ্ডল, তুলুরানি মণ্ডল, জয়ন্তী ঘোষ, শ্যাম ঘোষ, বনবাসী মণ্ডল, স্বর্ণেন্দু মণ্ডল এবং লতা মণ্ডল আজ দেখা করেন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। এদিন বনবাসী মণ্ডল নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “বিনা দোষে আমার সঙ্গে ভিন সম্প্রদায়ের লোকেরা অন্যায় করেছে। অনেকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ছাড়েনি। লুটপাট করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও আমার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বিএসএফকে ডেকে এনে আমরা বেঁচেছি। তারপর গঙ্গা পেরিয়ে পালিয়েছি। আমি এর বিচার চাই। আমাদের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব ভাব ছিল। তারা বলে যে নরেন্দ্র মোদি আইন পাশ করেছে, তাই হিন্দু থাকতে দেব না।”
উল্লেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাড়ি, দোকান ভাঙচুর। ঘরছাড়াও হন অনেকেই। ডিজি রাজীব কুমার খোদ এলাকায় যান। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলাকায় শান্তি ফেরান। বর্তমানে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বুধবার সকালে ওই এলাকার ১১ জন বাসিন্দা কলকাতায় আসেন। বিজেপি রাজ্য দপ্তরে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*