অমৃতা ঘোষ:-
জঙ্গলের ভিতর পরিত্যক্ত একটি ঘরে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল মহম্মদ আব্বাস নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছিল দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়া তে। সেই ধর্ষণকারীকে দার্জিলিঙের মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দিল শিলিগুড়ি আদালত। শিলিগুড়ি আদালতের বিচারপতি অনিতা মেহেত্রা মাথুর শনিবার এই সাজা ঘোষণা করেছেন।
আজ সম্পূর্ণ রাজ্য তথা বিভিন্ন দেশ যেখানে কলকাতার আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে বিচার দেওয়ার দাবিতে একজট ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সেখানে বিগত কিছু বছর আগের ঘটনায় ফিরে তাকালে অনুভব করা যায় যে কতটা মর্মান্তিক ও অমানবিক ঘটনাও আজ আরজি করের ঘটনার মতোই প্রায় একই প্রতিবিম্ব ছিল যার মামলায় বেশ কয়েক বছর পরে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। যেমন দিল্লিতে ঘটেছিল নির্ভয়ার ধর্ষণকাণ্ড। যেখানে প্রায় সাত বছর পরে ধৃত ধর্ষণকারীকে ফাঁসির সাজা দেয়া হয়।
ঠিক তেমনই ২০২৩ সালের ২১ অগাস্টে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এই ঘটনায় শারীরিক অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হয় মাটিগাড়ার ওই নাবালিকার। নির্যাতিতাকে যাতে কেউ চিনতে না পারে, ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তার মুখ। সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে অবশেষে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত ঘটনার ১ বছর ১৪ দিনের মাথায় মামলার নিষ্পত্তি হল। সাজা হলো মৃত্যুদণ্ড।
Be the first to comment