আবারও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো রাজ্যে। ধুপগুড়ির পর এবার জলপাইগুড়িতে আত্মঘাতী হলেন আরও একজন। এনআরসি-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে না পেরেই এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এনআরসি আতঙ্ক থাবা বসিয়েছে শহরের বুকেও।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে একই দিনে এনআরসি-এর বলি হন দু জন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুরে এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী হন সাবের আলি নামে এক যুবক। তিনি কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, নাগরিক পঞ্জির প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন সাবের। সেগুলি জোগাড় করতে না পেরেই চরম হতাশায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালেও এনআরসি-এর আতঙ্কে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন শ্যামল রায় নামে এক ব্যক্তি। বছর ৪২-এর শ্যামল রায় পুরনো নথি জোগাড় করতে কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছিলেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পুরনো নথি সংগ্রহ করতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। এরাজ্যে এনআরসি হলে তাঁর নাম বাদ পড়তে পারে, এই আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করে তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন তিনি। ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী ময়ান্তি রায়।
তবে এনআরসি আতঙ্ক থাবা বসিয়েছে মহানগরীতেও। মঙ্গলবার পুরসভা, নবান্ন ও স্বাস্থ্য ভবনে প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে লাইন দিতে দেখা গিয়েছে উদ্বিগ্ন শহরবাসীকে। যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বস্ত করে বলেছেন, এনআরসি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আগে বারবার জানিয়েছেন, এ রাজ্যে এনআরসি করতে দেওয়া হবে না।
Be the first to comment