নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের প্রতিবাদ: গুয়াহাটিতে অঘোষিত বনধ, ক্ষোভ তুঙ্গে

Demonstrators shout slogans as they hold placards to protest against the government's Citizenship Amendment Bill (CAB), during the shutdown called by North East Students' Organization (NESO), in Agartala in India's northeast state of Tripura on December 10, 2019. - Protestors in north-east India set fire to tyres and cut down trees to block roads on December 10 in a shutdown across the region hours after lawmakers approved the government's new citizenship bill. (Photo by STR / AFP)
Spread the love

রাতভর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের বাড়ি ঘেরাও। তো কখনও বিজেপি বিধায়ক, সাংসদের তাড়া ও তাঁদের থানায় আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবমিলে প্রবল উত্তপ্ত অসম।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরও থমথমে পরিস্থিতি। সেনা টহল চলছে গুয়াহাটির রাজপথে-সড়কে। সরকারি ঘোষণা অনুসারে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিকে সেনা টহলের কারণে অঘোষিত বনধের ছবি গোটা রাজ্য জুড়েই, বিশেষ করে গুয়াহাটি শহরে।

সূত্রের খবর, ত্রিপুরা, অসমের পর এবার অরুণাচল প্রদেশেও ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক স্থগিত করার পথে সরকার। তবে এই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি এখনও। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারত। এই বিলে ভারতের নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিল আদতে দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য অবিচার। ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের নাগরিকতা প্রদান সংবিধানের বিরোধিতা।

তবে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পাস করিয়ে নেয় বিজেপি। আর বিল উত্থাপন ও ভোটাভুটি প্রক্রিয়ার মাঝেই অশান্ত হয়ে যায় উত্তর পূর্ব ভারত। বিশেষ করে অসম ও ত্রিপুরা। উত্তর পূর্বের উপজাতি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ নেসো (নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন) দাবি, বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে স্থানীয় উপজাতিদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে।

ফলে বিলের বিরোধিতায় তাদের ডাকা ১১ ঘণ্টার বনধে অচল ছিল অসম। বিক্ষিপ্ত হিংসা, বিজেপি ও শরিক অগপ বিধায়ক, মন্ত্রীদের উপর হামলা হয়েছে। সংঘর্ষ ছড়ায় ত্রিপুরাতেও। সেখানেও বিজেপি সরকারের জোট শরিক উপজাতি সংগঠন আইপিএফটি সমর্থকরা হামলা চালায় বিভিন্ন বিজেপি অফিসে।

পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ায় বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায় অসমে। জখম হন কয়েকজন বলেই জানা গিয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর। অবস্থা সামাল দিতে সেনা নামানো হয় দুই রাজ্যেই। শুরু হয়েছে সেনা টহল। এদিকে বনধের প্রভাব বিরাট আকারে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। আর সেনা টহলের কারণে কেউই বাড়ি থেকে বের হননি। খোলেনি কোনও বাজার। এতে বৃহস্পতিবারও ব্যবসা ক্ষেত্রে পড়েছে প্রভাব।

বন্ধ বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে ডিব্রুগড়ে। এখানকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে কয়েকজন থানায় আশ্রয় নেন।

গুয়াহাটিতে জারি হয়েছে সান্ধ্যকালীন আইন। কার্ফু জারি করায় কোনও ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ। থমথমে পরিস্থিতি অসমের। উত্তেজনা রয়েছে ত্রিপুরাতেও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*