চিকিৎসকদের নজিরবিহীন প্রতিবাদ। গণছুটি নেওয়ার আবেদন জানালেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৷ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর কর্মবিরতির আবেদন ৷ এনআরএসের ঘটনার প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এর ফলে বুধবার রাজ্যের সব হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ থাকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ তবে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালুর আশ্বাস দিয়েছেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ৷
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রোগী মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এনআরএস। রোগীর পরিবার ও চিকিৎসকদের মধ্যে গন্ডগোলে জখম হন ২ জুনিয়র ডাক্তার। প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর অচলাবস্থা জারি থাকল এনআরএসে। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস না পেলে কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে চিকিৎসকদের মারধরে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ট্যাংরার বিবিবাগানের বাসিন্দা মহম্মদ শাহিদকে সোমবার ভর্তি করা হয় এনআরএসে। বিকেলে মৃত্যু হয় পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধের। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন পরিজনরা। ওয়ার্ডে ঢুকে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর তাঁরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এনআরএসে যান স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্য। কথা বলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। পরে প্রিন্সিপ্যাল শৈবাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। প্রিন্সিপ্যালের ঘরে যাওয়ার সময়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
দফায় দফায় বৈঠকেও কোনও সমাধান মেলে না। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু তাতেও অনড় চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষাস্বাস্থ্য আধিকারিকও। এদিন দুপুরে এনআরএসে যান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে থাকেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাও। বৈঠকের পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কমিশনার। কিন্তু অবস্থান তুলতে রাজি হননি জুনিয়র ডাক্তাররা।
Be the first to comment