ফের নুপুর শর্মাকে তলব কলকাতা পুলিসের। এবার তারিখ বেঁধে তলব নয় তাঁকে। যত দ্রুত সম্ভব নারকেলডাঙা থানায় হাজিরা দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। পয়গম্বর সম্পর্কিত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে এর আগেও ২০ জুন নারকেল ডাঙা থানায় তলব করা হয়েছিল৷ কিন্তু হাজিরা দেননি নুপুর। ২৫ জুন তলব করেছিল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিস। সেখানেও উপস্থিত হননি নুপুর।
বার বার হাজিরা এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে একটি চিঠি পাঠান নুপুর ৷ তাতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে৷ এই মুহূর্তে তাঁর সশরীরে কলকাতায় যাওয়া ঠিক হবে না ৷ পরিবর্তে তিনি পুলিসের কাছে চার সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন৷ তবে এবার তিনি হাজিরা দেবেন কি না সে বিষয়ে এখন কোনও সদুত্তর মেলেনি।
নূপুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ এ (ধর্মীয় অবমাননা), ২৯৮ এ- (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা), ১৫৩ এ (হিংসা ছড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দেওয়া) এবং ৩৪ ধারায় (বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার) মামলা করা হয়েছে।
গত মে মাসে জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়ে এক টেলিভিশন শো’তে ইসলাম ধর্মের গুরুকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা৷ যে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সেই আঁচ পড়ে বাংলাতেও। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়। বলা ভালো, বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রীর ওই মন্তব্যের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশ। আর সে কারণে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন থানাগুলিতে নূপুরের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ৷ বাদ যায়নি বাংলাও৷ পশ্চিম এশিয়ার বহু ইসলামিক রাষ্ট্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। একাধিক দেশ ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের ডেকে কার্যত ভর্ৎসনা করে। বেশকিছু দেশ আবার ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। এরপর বিতর্ক এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। নূপুর শর্মার বক্তব্যকে বিজেপি সমর্থন করে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সাসপেন্ড করা হয় দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। নূপুরের মন্তব্যকে পরে টুইটে সমর্থন জানান দিল্লি বিজেপির প্রধান নবীন জিন্দাল। তাঁকেও বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
Be the first to comment