সম্প্রতি তৃণমূলের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল ঘটিয়েছেন দলনেত্রী। রাজ্য কমিটিতে জায়গা দিয়েছেন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো, সিপিএমের বহিষ্কৃত নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এবার ভোটের আগে দলের রাজ্য ও জাতীয় স্তরের মুখপাত্র বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেই অত্যন্ত যুক্তি-বুদ্ধি দিয়েই মুখ বেছে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, জাতীয় স্তরের মুখপাত্র হিসেবে পুরনো মুখদেরও তিনি সসম্মানে রেখে দিয়েছেন।
তবে, রাজ্যস্তরের মুখপাত্র হিসেবে বেশ কিছু চমক এনেছেন তৃণমূল নেত্রী। জায়গা দিয়েছেন বহিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, তৃণমূলের তরুণ মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুনাল ঘোষকে। জাতীয় স্তরের মুখপাত্র হিসেবে রাখা হয়েছে ১২ জনকে আর রাজ্য স্তরের মুখপাত্র করা হয়েছে ২২ জনকে।
তৃণমূলের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জাতীয় স্তরের মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন, অমিত মিত্র, ডেরেক ও ব্রায়েন, দীনেশ ত্রিবেদী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মনীশ গুপ্ত, নাদিম উল হক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, সৌগত রায়, সুগত বসু, সুখেন্দুশেখর রায় ও বিবেক গুপ্তা।
আর রাজ্যস্তরের মুখপাত্ররা হলেন, অরূপ চক্রবর্তী, বিজয় উপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ দেব, ব্রাত্য বসু, সমীর চক্রবর্তী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাংশু ভট্টাচার্য, দেবু টুডু, দীনেশ বাজাজ, কুনাল ঘোষ, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বেদ রায়, নুসরত জাহান, ওমপ্রকাশ মিশ্র, পার্থ ভৌমিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, শীলভদ্র দত্ত, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ রাহা, সুপ্রিয় চন্দ ও তাপস রায়।
তবে, মুখপাত্র হিসেবে তিনজনের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। তাঁরা হলেন নুসরত, দেবাংশু ও কুনাল ঘোষ। সাংসদ হিসেবে সক্রিয় নুসরত সম্প্রতি টিকটক ব্যান নিয়ে দলের বিপরীত মত পোষন করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। তবে তাতে দলনেত্রীর আস্থা হারায়নি।
অপরদিকে, দেবাংশু তরুণ তুর্কী হিসেবে রীতিমতো জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। সেই বিষয়টি নজর এড়ায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আর কুনাল ঘোষ? সারদা পর্বে দলের সঙ্গে বিস্তর দূরত্ব, অভিযোগের পর্ব পেরিয়ে অবশেষে ২০১৯ সাল থেকে ফের তৃণমূলের ঘরে ফিরেছেন কুনাল। শেষমেশ তাঁকেও দলের রাজ্য স্তরের মুখপাত্র হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করলেন তৃণমূল নেত্রী।
Be the first to comment