গত মে মাসে বেঙ্গালুরুতে এইচ ডি কুমারস্বামী যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন, তখন বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখেছিল সারা দেশ। কিন্তু সোমবার রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসের মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না সেই ছবি। বিরোধী শিবিরের তিন প্রথম সারির নেতা, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবকে দেখা যাবে না শপথগ্রহণের মঞ্চে।
এদিন সকালে জয়পুরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন অশোক গেহলত। বিকালে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে শপথ নেবেন কমল নাথ এবং ছত্তিসগড়ের রায়পুরে শপথ নেবেন ভূপেশ বাঘেল। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যে অশোক গেহলতের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। অপর দুই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের শপথের সময়েও উপস্থিত থাকবেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু জয়পুরে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও অপর দুই মুখ্যমন্ত্রীর শপথের সময় উপস্থিত থাকবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বিরোধী শিবিরের অন্যান্য যে ভিআইপিরা শপথগ্রহণে উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং বিহারের বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব।
মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের শপথের সময় উপস্থিত থাকবেন মমতার প্রতিনিধি দীনেশ ত্রিবেদি। এক প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, এদিন আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। দীনেশ ত্রিবেদিকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি মমতার পক্ষ থেকে কোনও বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন? তিনি বলেন, আমার যাওয়াটাই তো একটা বার্তা।
মায়াবতী কেন আসছেন না?
কমলনাথ বলেন, অত্যন্ত জরুরি কাজে তিনি অন্যত্র ব্যস্ত আছেন। তিনি নিজে আমাকে সেকথা জানিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে সরকার গড়তে সাহায্য করেছেন মায়াবতী। যদিও ভোটের আগে তিনি কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়ের থেকেই সমদূরত্ব রাখার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, কংগ্রেস ও বিজেপি, দু’টোই সাপের মতো। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে ভোটে যখন কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না, তখন ঘোষণা করেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন।
অখিলেশ যাদব কেন আসছেন না, জানা যায়নি। তবে রাজস্থানে শপথের সময় আম আদমি পার্টির প্রতিনিধি সঞ্জয় সিং-এর উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকে মনে করছেন। দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির সম্পর্ক ভালো নয়। কিন্তু কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর শপথে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতিনিধিকে দেখে অনেকেরই ধারণা, দুই দলের সম্পর্কে তিক্ততা কাটতে চলেছে।
Be the first to comment