খেয়াদহের খাল থেকে উদ্ধার এক এক ওলাচালকের দেহ ৷ নাম সাধন হালদার (২৮)। তিনি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার নারায়নপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে । গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে এর সাথে আর যোগাযোগ করা যাইনি। গতকাল রাতেই এয়ারপোর্ট থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে পরিবার ৷ আজ দুপুরে খেয়াদহ এলাকার খালপাড় থেকে দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা খালের মধ্যে দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে ৷
অন্যদিকে পরিবারের লোকজন ক্যাবের জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে জানতে পারে যে সে সোনারপুরে রয়েছে । এরপর তারা সোনারপুর থানা্য় যোগাযোগ করে ৷ পুলিশ দেহ দেখালে তারা দেহ সনাক্ত করে ৷ সাধনের পেটে পোড়ানোর দাগ ও শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাড়ির লোকের অনুমান একে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় সোনারপুর থানার বিরুদ্ধে অসহযোগীতার অভিযোগ পরিবারের । দেহ উদ্ধার হলেও গাড়িটির এখনো পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। যারা যাত্রী ছিল তাদের সাথে যোগাযোগ করা গিয়েছে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কি করে সাধনের দেহ খালে এল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা করতে পারেনি ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পরিবারের লোকদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ গাড়ির মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটেছিল নাকি অন্যকোনও কারণে এই মৄত্যু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ গাড়িটিই বা কোথায় তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷ পরিবারের দাবী ছিনতাইকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷
Be the first to comment