ওমিক্রন-এ প্রথম মৃত্যু হল দেশে। গত ২৮ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পিম্পরির হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৫২ বছর বয়সী নাইজেরিয়া ফেরত ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, বিগত ১৩ বছর ধরে মধুমেহ অর্থাৎ ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন তিনি। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাক লেখা হয়েছিল। কোভিডের কারণে যে তাঁর মৃত্যু হয়নি, সে কথাও বলা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবারের NIV রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি করোনার নয়া স্ট্রেন Omicron এ আক্রান্ত ছিলেন। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর এই তথ্যে সিলমোহর দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
বর্তমানে মহারাষ্ট্রে দাপট দেখাচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এদিন নতুন করে ১৯৮ জনের দেহে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট। বিগত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৩৬৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ৪৫০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত ওই রাজ্যে। দেশে করোনার নয়া স্ট্রেন দ্বারা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬০ অর্থাৎ দেশের অর্ধেক ওমিক্রন সংক্রমণ মহারাষ্ট্রেই। বুধবারের তুলনায় মহারাষ্ট্রে এদিন ৩৭ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে। শুধুমাত্র মুম্বইতে তিন হাজার ৬৭১ জনের দেহে মিলেছে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে গতদিনের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ।
বৃহস্পতিবার সকালেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ওই রাজ্যের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে ওমিক্রন-এর সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এদিকে WHO সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ওমিক্রনের দাপাদাপির মধ্যে দিয়েই করোনার সুনামি আছড়ে পড়বে বিশ্বের প্রতিটি দেশে। বাস্তবেও হচ্ছে তেমনটাই। বর্ষবরণের আগে কলকাতাতেও বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ।
এদিন শহরে আরও দু’ জনের দেহে ওমিক্রন এর হদিশ মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ৪৪ বছরের এক ব্যাক্তি এবং এক শিশুর দেহেই ওই নয়া স্ট্রেনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। শিশু সহ ও ব্যক্তি ব্রিটেন থেকে ফিরেছিলেন বলেই খবর। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দু’ জনই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওমিক্রন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ব্রিটেন থেকে কলকাতার বিমান উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নবান্ন।
Be the first to comment