একই দিনে বীরভূমে অনুব্রতর বিভিন্ন গড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত এলাকা, একজনের মৃত্যুও ঘটল

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- অনুব্রতর গড় বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত্যু হল দলের এক কর্মীর। রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় শেখ নিয়ামুলকে। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

১১ ফেব্রুয়ারি কাঁকরতলায় তৃণমূল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়, সেই রেশ কাটতে না-কাটতেই ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বীরভূমের খয়রাশোল। পাশাপাশি, শনিবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয় শান্তিনিকেতনের মমিনপুর গ্রামও।
খয়রাশোল ব্লকের বড়রা গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। উজ্জ্বল হক কাদেরী গোষ্ঠীর অনুগামীদের সঙ্গে স্বপন সেন গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। গত ১১ ফেব্রুয়ারি কাঁকরতলায় এই দুই গোষ্ঠীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। বোমায় পা-উড়েছিল তৃণমূল কর্মীর। ফের এই দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। এদিনও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি, মারামারি হয়।
উজ্জ্বল হক কাদেরী গোষ্ঠীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত শেখ নিয়ামুলকে রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুত্বর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুর্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের কাজের টেন্ডার-সহ বিভিন্ন বেআইনি কাজের টাকার ভাগকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।
অন্যদিকে, শনিবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত অনুব্রত মণ্ডলের আরও এক গড়। শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরের মমিনপুর গ্রামে চলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় বাড়িঘর, বাইক, দোকান প্রভৃতি। চালানো হয় লুটপাট। ঘটনায় আহত হন দু’পক্ষের ৪ জন। তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’পক্ষের ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
মূলত গ্রাম কার দখলে থাকবে, অর্থাৎ পঞ্চায়েত থেকে হওয়া রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট নির্মাণের রাশ কার হাতে থাকবে, টাকার বখরা কার? মূলত এই নিয়েই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে ইটবৃষ্টি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু দাসের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গ্রামের আরেকটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই চলে সংঘর্ষ। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে জখম হন ৪ জন। সকলকেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’পক্ষের বাড়িতেই চলে ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় বাড়ি ঘর, দোকান ঘর, বাইক ৷ এমনকী, লুটপাটও চালানো হয় ৷ ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা গ্রামে ৷ গ্রামের মহিলারাও ইট ছোড়ায়, সংঘর্ষে অংশ নেন ৷ এই ঘটনায় দু’পক্ষেরই ১০ জনকে আটক করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। দু’পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*