আরজিকর হাসপাতালে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় রাজ্য তথা দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্ম বিরতি ডাক দেওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত। এরই মধ্যে বুধবারের জন্য বাংলার সব ক’টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ওপিডি পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে জরুরি নয় এমন সব পরিষেবাও বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে।জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস-এর দাবি, তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে তারই প্রতিবাদে বুধবার আট ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে তারা। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে ওই চিকিৎসক সংগঠন। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারও বুধবার ওই আট ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার কথা বলেছে তাঁরা।সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আজ যখন শুনলাম আরজি করের বক্ষরোগ বিভাগে সংস্কারের নামে ভাঙা হচ্ছে, আমরা নিশ্চিত প্রমাণ লোপাটের যে আশঙ্কা করেছিলাম তা দৃঢ় হচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে ও ব্যক্তিগত চেম্বারে আগামিকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বহির্বিভাগ ও অ-জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।” সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক পুন্যব্রত গুন জানিয়েছেন, “আজ হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে যেতে হয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে যতক্ষণ না অপরাধী ধরা পড়ছেন, ততক্ষণ চাপ তৈরির জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের থাকা দরকার।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হাইকোর্ট আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশের কিছু সময় পরেই টালা থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে মামলার নথিপত্র হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। এ সবের মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে চাউর হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সংস্কারের কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্সের তরফে জানানো হয় স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে। সূত্রের খবর, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ওই সংস্কারের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু স্বাস্থ্যসচিবকেই নয়, আরজি করে এই সংস্কারের কাজটি সিবিআইয়ের নজরেও এনেছে চিকিৎসকদের সংগঠন।
Be the first to comment