আধার কার্ড দিলেই মিলছে পেঁয়াজ, অভিনব উদ্যোগ মোদীর

Spread the love

পেঁয়াজের দামে চোখে ঝাঁজ মধ্যবিত্তের। হাজারো চেষ্টা করেও কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দাম। সেঞ্চুরি হাকিয়ে কয়েক জায়গায় ১২০ তেও বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের দর। বিরোধীদের অভিযোগ, পেঁয়াজের দাম মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন্দ্র।

আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে অভিনব পন্থা বেছে নিল উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি। আধার কার্ড বা রূপো ‘বন্ধক’ রেখে ‘ঋণ’এ পেঁয়াজ দেওয়ার অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি নিল তারা। সমাজবাদী পার্টি কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে কংগ্রেসও। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্য বিধানসভার সামানে ৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা।

উল্লেখ্য, পেঁয়াজের দর সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকারের সৌজন্যে সুফল বাংলার স্টলে অনেক কমে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। বিহারেও ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা করেছে বিহার সরকার। কিন্তু কেন্দ্র তেমন কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি বিরোধীদের।

তবে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ এনে দাম কমাতে চেষ্টা করছে মোদী সরকার। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির। তবে তা আনা হলেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগে তা এসে পৌঁছাবে না অর্থাৎ ততদিন এই দামেই পেঁয়াজ কিনতে হবে সকলকে।

উল্লেখ্য, এর আগেও পেঁয়াজ আমদানি করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতে যে আখেরে লাভ কিছুই হয়নি, তা পেঁয়াজের দাম থেকেই স্পষ্ট। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র বা কর্ণাটকের অত্যাধিক বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী ঠিকমত জোগান আসছে না। পেঁয়াজের রফতানি যাতে কমানো সম্ভব হয়, তার জন্য রফতানির দামে লাগাম দিয়েছে সরকার। টন প্রতি ৮৫০ ডলারের নীচে পেঁয়াজ রফতানি করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এর আগে পেঁয়াজের দাম সবচেয়ে বেশে বেড়েছিল ২০১৫-র ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন এক কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম পৌঁছয় ৪৩০০ টাকায়। এখনও পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম সবচেয়ে বেশি উঠেছে ২০১৫-র ২২ আগস্ট। সেদিন এক কুইন্টাল পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫৭০০ টাকায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*