ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ২০০ ছুঁতে পারে পেঁয়াজের দাম। এমনটাই জানা যাচ্ছে বাজার সূত্রে। ১০০ থেকে পেঁয়াজ এখন ১২০ টাকা পৌঁছেছে। খুব শীঘ্রই পেঁয়াজের দাম ১৫০তে গিয়ে ঠেকবে। এখানেই থামবে না। পেঁয়াজ সমস্যা বাড়তে পারে আরও। দাম হতে পারে ২০০ ছুঁই ছুঁই।
প্রসঙ্গত খুচরো বাজারে বেশ কিছু জায়গায় ১৪০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে খবর মিলছে। অনেক খুচরো ব্যাবসায়ী এই সুযোগে এখন থেকেই ১৫০ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলেও খবর মিলছে। তবে দাম ১৫০ ছুঁতে বেশি সময় লাগবে না। কমলবাবু বলেন , ‘এখনই ৩০ শতাংশ গাড়ি কম আসছে কলকাতায়। এবার ডিসেম্বরের শেষের দিকে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। তখন আরও সমস্যা বাড়বে।
কারন তখন আবার পুরনো পেঁয়াজ স্টকে রয়েছে এসব বলে গাড়ি পাঠাবে না। তখন এর চেয়েও দাম বাড়তে পারে। অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।’ ২০০ টাকা পেঁয়াজের দাম ছুঁতে পারে এমন আশঙ্কাও ভুল হবে না।
৩০ শতাংশ গাড়ি আসছেই না রাজ্যে। ফল ক্রম বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজ বিক্রি করছে ‘সুফল বাংলা’ স্টোর্স ও মোবাইল ভ্যানে। মঙ্গলবার সেখানে ৫৯ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এক কর্মী।কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে এরই মধ্যে। পাশাপাশি ১.২ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই।
পেঁয়াজের বাজারের আগুন দামকে কমানো। রবিবার জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের বাণিজ্য ফার্ম এমএমটিসি, যারা কেন্দ্রের তরফে পেঁয়াজ আমদানি করছে, তারা ১১,০০০ টন পেঁয়াজ আনানোর অর্ডার দিয়েছে তুরস্ক থেকে। বহু ব্যবসায়ী অবশ্য দাবি করছেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পেঁয়াজ বেআইনি ভাবে রফতানি করা হচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজের অতিরিক্ত দামের জন্য বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলার রিচা গ্রামে এক কৃষক যা অভিযোগ দায়ের করেছেন তা শুনে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশের। কৃষকের অভিযোগ, তাঁর ক্ষেত থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পেঁয়াজ চুরি হয়ে গিয়েছে। রিচা গ্রামের বাসিন্দা জিতেন্দ্র কুমার পেশায় কৃষক। তাঁর অভিযোগ প্রায় ১.৬ একর জমি জুড়ে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই ওই ক্ষেত থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পেঁয়াজ চুরি হয়ে যায়।
Be the first to comment