বিরোধী দলের সাংসদরা বৃহস্পতিবার উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভার সম্মানে নৈশভোজে মিলিত হচ্ছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন দলীয় সাংসদ এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী জোটের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। তবে তারা এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কেও সমর্থন করবে না। তার অর্থ, তৃণমূল ভোটদানে বিরত থাকছে।
এই পরিস্থিতিতে আদ রাতের ভোজে তৃণমূল উপস্থিত থাকবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে রাজধানীতে। বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা এর আগে একাধিকবার তৃণমূলের সমর্থন চেয়েছেন। দুদিন আগেও তিনি টুইটে লেখেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটে নিরপেক্ষ থাকা মানে শাসকদলকে সাহায্য করা। তৃণমূল বিরোধী জোটের একটা গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। আশা করি, তৃণমূল সাংসদরা তাঁদের বিবেকবুদ্ধি মতো ভোট দেবেন। তাঁদের যেন বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দিতে বলা হয়।
মার্গারেট তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁকে একবারও ফোনে পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভা। নেত্রীকে না পেয়ে মার্গারেট লোকসভার তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি সুদীপকেও জানান, তৃণমূল সাংসদরা যেন তাঁকে ভোট দেন।
সুদীপ কংগ্রেস নেত্রীকে জানিয়ে দেন, তিনি এ ব্যাপারে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা খুব কম।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অধিকাংশ বিরোধী দল প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহার নাম চূড়ান্ত করে। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার ব্যাপারে তৃণমূল মাথা গলায়নি। তাদের অভিযোগ, নেত্রীকে অন্ধকারে রেখে বিরোধী দলগুলি একতরফাভাবে মার্গারেট আলভার নাম চূড়ান্ত করেছে। এই পদ্ধতির প্রতিবাদে তারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। বাম ও কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে বিজেপির সুবিধা হবে। ভোট হবে শনিবার। সেদিনও মমতা দিল্লিতে হাজির থাকবেন। শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত বদলায় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment