চিকেন তন্দুরি নিয়ে শুরু নয়া বিতর্ক; বিক্ষোভ নাকি পিকনিক? কটাক্ষ বিজেপির

Spread the love

সাসপেন্ড হওয়া ২৭ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদে ধর্নায় বসেছেন বিরোধী দলের সাংসদরা। একটানা ৫০ ঘণ্টা তারা সংসদে গান্ধীমূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। শুক্রবার সেই ধর্নার শেষ দিন। তবে ধর্না নিয়েও শাসকদলের কটাক্ষ থেকে রক্ষা পেলেন না বিরোধী সাংসদরা। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে আমিষ খাবার খাওয়া নিয়ে বিক্ষোভকারী সাংসদদের আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা।

বুধবার থেকেই একটানা ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় বসেছেন বিরোধী দলের সাংসদরা। এরমধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি, সিপিআই সহ একাধিক দলের সাংসদরা রয়েছেন। বুধবার রাতে বিক্ষোভকারীদের খাবারের ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। রাতে রুটি, ডাল, পনীর ও তন্দুরী চিকেন খেতে দেওয়া হয় সাংসদদের। এই বিষয়টি সামনে আসতেই আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা।

শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, সংবাদমাধ্যমেপর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে চিকেন তন্দুরি খেয়েছেন। সকলেই জানেন গান্ধীজির পশুহত্যা নিয়ে কঠোর মনোভাব ছিল। অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে এটা বিক্ষোভ নাকি পিকনিক।

তবে বিতর্ক-কটাক্ষে কান না দিয়েই গতকালের মেনুতেও আমিষ খাবারকেই জায়গা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ডিএমকের তরফে যেখানে সাংসদদের জন্য ইডলির ব্যবস্থা করা হয়, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ফিশফ্রাই ও চিকেন তন্দুরিই দেওয়া হয় সাংসদদের।

সংসদের বাইরে রাত কাটানোর জন্য তাঁবু খাটানোর আবেদন জানিয়েছিলেন বিক্ষোভকারী সাংসদরা। সেই অনুমতি না মেলায়, বাধ্য হয়েই তাঁরা খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটান। তবে মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারির নীচে ঘুমোন তাঁরা। মাঝরাতে বৃষ্টি নামায় সাংসদরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশ ছেড়ে সংসদ চত্বরেই আশ্রয় নেন। সকালেও সেখানেই বসে থাকতে দেখা যায় তাঁদের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*