ওয়াকফ বিল নিয়ে বিজেপিকে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ, জেপিসিতে পাঠানোর কথা বললেন সৌগত

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিতর্কিত বিল পেশ করলেন বিজেপি সরকারের সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সংসদে আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সেই ম্যারাথন আলোচনা। এদিকে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে লোকসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা।
এদিন সংসদে বিল নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি এই বিলকে একেবারেই সমর্থন করছি না। এই বিল অসাংবিধানিক। তৃণমূলের তরফে আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি।’’ তিনি জানান, বিজেপির আনা এই বিলে মুসলমানদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। এই বিল অসাংবিধানিক।কল্যাণের দাবি, ওয়াকফ বিলের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। ভোটাভুটি হলে এই সংশোধনী বিলের বিপক্ষে ভোট দেবে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আড়ালে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ভাগ করতে চাইছে। যদি ওরা একতাই চায়, তা হলে বিলে কেন ভাগের চেষ্টার কথা? সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে শ্রেণিবিভাগ শাসকদলের খারাপ উদ্দেশ্যই ইঙ্গিত করে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল হল সরকারি মাধ্যম দিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের একটি প্রচেষ্টা। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি অযৌক্তিক। ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মেরুদণ্ড।’’৷ এছাড়াও কল্যাণ বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তির মালিক ঈশ্বর ৷ এই সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করা মানে সংবিধানকে অস্বীকার করে ৷ পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, রাজস্থানের ৮০ শতাংশ ওয়াকফ সম্পত্তির জমি সরকারের অধীনে ৷ কাউকে জোর করে ধর্ম পালনে বাধ্য করা যায় না। কোনও মানুষ নিজের ইচ্ছা মতো জীবনের কোনও একটা সময়ে ধর্মীয় অনুশাসন পালন করা শুরু করতে পারেন।
অন্যদিকে, ওয়াকফ বিল নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন সমাজবাদি পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, বিজেপি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দল বলে দাবি করে অথচ এখনও পর্যন্ত নিজেদের সভাপতির নাম ঠিক করতে পারেনি। পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিজেপি কোনও পরিবারতান্ত্রিক দল নয় যে পাঁচজন মিলে বসে সভাপতির নাম ঠিক করবেন। এরপরই অখিলেশ বলেন, সরকার ওয়াকফের জমি নিয়ে ভাবিত। কিন্তু তার থেকেও বেশি জরুরি চিন দেশের কত পরিমাণ জমি দখল করেছে সেটা জানা দরকার৷ সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর নিজের রাজ্য অরুণাচলে কত পরিমাণ জমির দখল চিন নিয়েছে সেটা সরকারের আগে বলা উচিত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*