দেশ জুড়ে করোনার গ্রাফ যত উর্ধ্বমুখী হচ্ছে, ততই চাহিদা বাড়ছে অক্সিজেনের। গত কয়েক দিনে সামনে এসেছে একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা। কোথাও স্টোর রুম তোলপাড় রে অক্সিজেন সিলিন্ডার করছেন আক্রান্তদের আত্মীয়রা, আবার কোথাও অক্সিজেনের অভাবে ঘটছে মৃত্যু। এই পরস্থিতিতে অক্সিজেনের গাড়িকে যাতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেওয়া হয়, তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। অ্যাকটিভ কেস বা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মাথায় রেখে যাতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় এই বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। দেশের সব আজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। যে সব গাড়িতে অক্সিজেন যাচ্ছে, সেগুলিকে অ্যাম্বুলেন্সের মতো গুরুত্ব দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। এগুলি দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ করিডর তৈরির কথাও বলা হয়েছে।
এছাড়াও অক্সিজেনের যোগান দ্রুত দেওয়ার জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। শিল্পের প্রয়োজনে অক্সিজেন সরবরাহ আপাতত কমানো হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া দেওয়া হবে না। চিকিৎসার ক্ষেত্রে অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অক্সিজেন সরবরাহ করার পর রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার পর সেখান থেকে খালি ট্যাঙ্কার নিয়ে আসতে কাজে লাগানো হচ্ছে বায়ুসেনাকে।শুধু তাই নয়, সিঙ্গাপুর বা আরব আমিরশাহী থেকে ট্যাঙ্কার নিয়ে আসা হচ্ছে বিদেশ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার পৌঁছে দিতে কাজ করছে রেল।
অক্সিজেন সরবরাহে রেল ও বায়ুসেনাকে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই আশ্বাস শুক্রবারই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের যে ১১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, তাদের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার এই ভার্চুয়াল বৈঠকে জীবনদায়ী ওষুধের কালোবাজারি রুখতে রাজ্যগুলিকে কড়া অবস্থান নিতে বলেন মোদী। সেই সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের বার্তাও দেনন তিনি। জানান, অক্সিজেন সরবরাহে রেল, বায়ুসেনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
Be the first to comment