প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শুরম্বরম এবং তাঁর কার্তি চিদম্বরম সহ বেশ কিছু রাজনীতিককে তলব করল দিল্লির এক আদালত। এয়ারসেল-ম্যাক্সিস কাণ্ডের জন্যই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর এমনটাই। চিদম্বরম সহ বাকিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ওই কাণ্ড নিয়ে ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে চার্জশিট পেশ করেছিল। যার ভিত্তিতে চিদম্বরম ও তাঁর পুত্রকে সমন পাঠানো হয়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দিল্লির বিশেষ আদালত এ নিয়ে অর্ডার পাশ করার কথা বলেছিল। শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দু’টির পেশ করা চার্জশিটগুলিকে মান্যতা দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল আদালত। বিশেষ বিচারপতি এম কে নাগপাল সোমবার ওই রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। এদিন আদালতের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চার্জশিটে করা অভিযোগ অত্যন্ত গম্ভীর।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তির সময় ফরেন ইনভেসমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের অনুমতি কে বা কারা দিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি। ২০০৬ সালে FIPB এর অনুমতি পেয়েছিল এয়ারসেল ম্যাক্সিস। সে সময় কেন্দ্রীয় সস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে আইএনএক্স মিডিয়া কেস-এ জামিন পেয়েছিলেন চিদম্বরম। দীর্ঘদিন তিহার জেলে থাকার পর, সেখান থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। যদিও ২২ অক্টোবর সিবিআই-এর তরফ থেকে চিদম্বরমকে রক্ষাকবচ না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছিল, চিদম্বরমকে জামিন দেওয়া হলে, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু, সিবিআই-এর ওই তত্ত্ব খারিজ করে দেয় আদালত। ১০৫ দিন পর জেলের বাইরে আসেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা আইএনএক্স মিডিয়াকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের অনুমতি পাইয়ে দিয়েছেন, অভিযোগ ছিল এমনটাই। দু’বছর আগে পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। কংগ্রেস নেতার ছেলে কার্তি চিদম্বরমকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল একই মামলায়। গত বছর দু’জনেই জামিনে মুক্তি পান। ২০১৯ সালে সিবিআই চিদম্বরম পুত্রের ৫৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। স্পেন, ব্রিটেন সহ অন্য দেশে সম্পত্তি ছিল তাঁর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সম্পত্তি রয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছিল সে সময়।
Be the first to comment