অন্ধকারে ডুবল পাকিস্তানের একের পর এক শহর। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে মাঝরাতের কিছু আগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেদেশের আধিকারিক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডে সমস্যার কারণেই এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। পাকিস্তানে একের পর এক শহর থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, মুলতান, কাসুর থেকে শুরু করে একের পর এক শহর থেকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন সোশাল মিডিয়ায়।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর টুইটারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পর থেকে হ্যাশট্যাগ ব্ল্যাকআউট টুইটারের ট্রেন্ডিং তালিকায় শীর্ষে চলে আসে । রাত 2টো 18 মিনিট পর্যন্ত ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ছিল হ্যাশট্যাগ ব্ল্যাক আউট ।
ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজ়া শাফকাত টুইটারে জানান, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডেসপ্যাচ কম্পানির সিস্টেমে ট্রিপ হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আয়ুব খান টুইটারে জানান, পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ফ্রিকোয়েন্সি এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে যাওয়ায় দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট তৈরি হয়েছে ।” কেন এমনটা ঘটল তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি নাগরিকদের শান্ত থাকার জন্যও অনুরোধ করেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, ব্ল্যাকআউটের জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরেও । বেশ কিছু মোবাইল ও ইন্টারেনেট পরিষেবার উপরেও প্রভাব পড়েছে। করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিষেবাও ব্যাহত হয় ব্ল্যাকআউটের জেরে।
কেউ কেউ টুইটারে ১৯৯৯ সালে শেষ বার যখন দেশে বড়সড় ব্ল্যাকআউট হয়েছিল, সেই সময়ের কথা তুলে ধরেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফকে সেই সময় পারভেজ় মুশারফ কৌশলে গ্রেপ্তার করেছিলেন। পাকিস্তানে তখন সামরিক শাসনও জারি হয়েছিল।
Be the first to comment