ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের দিয়ামের জেলার চিলাস শহর। সন্ত্রাসের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেল ১২টি স্কুল।
গিলগিট থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে চিলাস শহরে শুক্রবার ভোর রাতে হিংসার তাণ্ডবলীলা চালাল দুষ্কৃতীরা। অন্ধকার থাকতেই একের পর এক জ্বালিয়ে দেওয়া হল স্কুল। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মেয়েদের। তবে সেই সময় স্কুলগুলি ফাঁকা থাকায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
অন্তত দু’টি স্কুলে দুষ্কৃতীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে সিদ্দিকি আকবর চকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি তুলে দফায় দফায় চলে অবরোধ।
দিয়ামেরের পুলিশ সুপার রয় আজমল বলেছেন, ‘‘১২টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। তার মধ্যে বেশিরভাগ স্কুলই মেয়েদের। দুষ্কৃতীদের কাওকে এখনও নাগালে পাওয়া যায়নি।’’
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, চিলাস শহরে এমনিতেই শিক্ষার প্রসার অনেক কম। বেশিরভাগ স্কুলগুলিই ছিল নির্মীয়মান। সবকটিই জ্বালিয়ে দিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। তবে অভিযোগের আঙুল উঠেছে কট্টরপন্থী জঙ্গি দলগুলির দিকেই। পাকিস্তানের স্কুলগুলি প্রায়শই জঙ্গিদের নিশানায় থাকে। পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে উত্তর পাকিস্তানের মেয়েদের স্কুলগুলিকে বরাবরই টার্গেট করেছে তালিবান গোষ্ঠী।
২০০৪ সালে এই চিলাস শহরেই ন’টি স্কুল জ্বালিয়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা, যার মধ্যে আটটি ছিল মেয়েদের। ২০১১ সালে চিলাসেই আরও দু’টি স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খাইবার পাখতুনওয়াতে অসংখ্য স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দশ বছরে জঙ্গি হানায় পাকিস্তানে ১৫০০ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Be the first to comment