সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ ৷ বিভিন্ন মহলের দাবি, তারা সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। আলোচনা চলছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের শাখা সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপে ৷ পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত হলে তাদের উপর আন্তর্জাতিক সংগঠনের নানান বিধি-নিষেধ জারি হবে ৷
এদিকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) তদন্ত করে দেখেছে, দেশে আর্থিক তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানে ৪০টি’র মধ্যে প্রায় ৩২টি কেসের কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি পাকিস্তান ৷ শুধু তাই নয়, FATF-র কয়েকজন সদস্য জানিয়ে-ছেন,- জঙ্গিনেতা হাফিজ সইদ ও মাসুদ আজাহারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ যদিও ইসলামাবাদের দাবি, লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ-দাওয়া, জইশ-ই-মহম্মদের প্রায় ৭০০-এরও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা ৷
উলেখ্য, রাষ্ট্রসংঘ যখন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেয় তখনই ভারতের পক্ষ থেকে FATF-র কাছে আর্জি জানানো হয়, পাকিস্তানকেও কালো তালিকাভুক্ত দেশগুলোর আওতায় আনা হোক কারণ তারা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সহায়তা করে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ৷ ২০১৮ সালের জুন মাসেই FATF পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে ৷ এর পরবর্তী ধাপই হল কালো তালিকা ৷ এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ১১টি প্যারামিটারের মধ্যে ১০টি প্য়ারামিটার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসলামাবাদ ৷ চলতি বছরের জুনে FATF পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয়, অক্টোবরের মধ্যে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমন করতে হবে । FATF তদন্ত করে দেখেছে, একটা শর্তও পাকিস্তান মানেনি।
তবে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে কি না তা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই জানিয়ে দেবে FATF ।
Be the first to comment