এ যেন ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়ের দশা হয়েছে পাকিস্তানের। আগামি ২৫ জুলাই সাধারণ নির্বাচন। জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৭০টি। প্রার্থী সংখ্যা ২১ হাজার ৪৮২ জন। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২ হাজার ৭২০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ফৌজদারি অপরাধ, ধর্ষণ, দ্বৈত নাগরিকত্ব, মুদ্রা পাচার, নির্যাতন, ঋণখেলাপি, নারীপাচার, খুনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি), নির্বাচন কমিশন অফ পাকিস্তান (ইসিপি), স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান (এসবিপি), কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ), ন্যাশনাল ডেটাবেস রেজিস্ট্রেশন অথরিটি (নাদরা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এফবিআর), সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি) ও জেলা রিটার্নিং অফিসারদের কার্যালয় থেকে সংগৃহীত রেকর্ড ঘেঁটে এই তথ্য জানা গেছে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার প্রায় ১ হাজার ২৭০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে। একই অভিযোগে তদন্ত চলছে খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার ৪৩৫ জনের বিরুদ্ধে। সিন্ধুপ্রদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার ৭৭৫ জনের বিরুদ্ধে। বেলুচিস্তান প্রদেশের ২৩৫ জনের বিরুদ্ধে এবং ইসলামাবাদের জাতীয় আইনসভার ৫ জনের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে তদন্ত চলছে। মোট ৮০ হাজার কোটির ও বেশি অর্থ তছরুপে জড়িত থাকার অভিযোগেরও তদন্ত চলছে। দুশ্চিন্তার বিষয় হল, এই ২ হাজার ৭১৫ প্রার্থীর অর্ধেকের বেশিই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবুও মন্দের ভালো, এদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। অভিযোগ কিছুই এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।
Be the first to comment