আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছে পাকিস্তান..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়ার মতো একাধিক দেশ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছেন রাষ্ট্রনেতারা। কাশ্মীর হামলার পর আরও একবার আন্তর্জাতিক মহলেও কোনঠাসা পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু থেকে শুরু করে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। হামলার তীব্র নিন্দা করে কড়া বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই ফোন করেছিলেন ‘বন্ধু’ মোদিকে।


আজ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের এক সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে প্রশ্ন করেন, “কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প?” প্রশ্ন শুনেই তাঁকে থামিয়ে দেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি সাফ জানান, “আমি এর কোনও উত্তর দেব না। এই পরিস্থিতি নিয়ে আমি বেশি কিছু বলব না। প্রেসিডেন্ট আর বিদেশ সচিবই যা বলার বলবেন।” তবে পহেলগাঁওয়ের হামলার কথা উল্লেখ করে ট্যামি ব্রুস বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বিদেশ সচিব রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করি। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই জঘন্য কাজের অপরাধীরা যেন যোগ্য জবাব পায়।”
পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরে হিন্দুদের উপর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। তিনি আরও বলেছেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সমর্থন করবে আমেরিকা। শুক্রবার তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ‘ভয়াবহ ইসলামিক সন্ত্রাসী হামলায় পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন হিন্দুকে লক্ষ্য করে হত্যার ঘটনায় আমরা ভারতের জন্য সংহতি প্রকাশ করছি। যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সমগ্র ভারতবাসীর প্রতি আমার প্রার্থনা ও গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই নৃশংস হামলার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে আমরা আপনাদের সাথে আছি এবং সমর্থন জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প পহেলগাম হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবেন।
অন্যদিকে, রাশিয়া ভারতের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থেকে এখন পর্যন্ত, রাশিয়া কখনও ভারতের পক্ষ ত্যাগ করেনি। রাশিয়া ইতিমধ্যেই ভারতকে অস্ত্রের পাশাপাশি কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর আরও একবার পাকিস্তানকে কোনঠাসা করল রাশিয়া। রাশিয়া সরকার পাকিস্তান নিয়ে রাশিয়ার অ্যাডভাইসরি। রুশ নাগরিকদের পাকিস্তান না যাওয়ার পরামর্শ রুশ হাই কমিশনের।
এছাড়াও, সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্স এবং ভারতের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে ভারতের পক্ষে ফ্রান্সের অবস্থান। ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র ক্রয়কারী দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। ফলস্বরূপ, ফ্রান্সও ভারত থেকে বড় ব্যবসা পায়। ইতিমধ্যেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, জর্ডানের রাজা আবদুল্লা, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সকলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*