
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী হবে সীমা হায়দরের?
প্রেমের টানে চার সন্তানের মা সীমা বেআইনিভাবে ভারতে চলে এসেছিলেন। পাবজি খেলতে গিয়ে একে-অপরের প্রেমে পড়েন সীমা-শচীন। এরপর ২০২৩ সালের জুনে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে শচীনের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল ঘুরে বেআইনিভাবে ভারতে এসেছিলেন। অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে সীমাকে গ্রেফতারও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। সে ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। একাধিকবার ভারতের নাগরিকত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সীমা। তবে যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের তদন্ত চলছে, তাই এখনও নাগরিকত্ব মেলেনি তাঁর। এদিকে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর কড়া পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে সীমার ভারতে থাকা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার জবাবে কড়া পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। বুধবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও কৌশলগত পালটা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। বাতিল করা হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি। আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য সমস্ত ‘সার্ক’ ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই ভিসার মাধ্যমে যে পাকিস্তানিরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে বৈঠকে বসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ছিলেন ওই বৈঠকে। সেই বৈঠকের শেষে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, পহেলগাঁওয়ের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
Be the first to comment