বিচারপতি চন্দ্রচূড় অসুস্থ। তাই সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি কবে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা ঝুলে রইল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন শাসক দলের প্রার্থীরা। কিন্তু তা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই ৩৪ শতাংশ আসনে জয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে কোনও নোটিফিকেশন বের করা যাবে না। ফলে সেখানে বোর্ড গঠন করাও যাবে না। এ দিকে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ১৬ অগস্ট থেকে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য নোটিফিকেশন জারি করে দিয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার এক প্রস্ত শুনানি হয়েছিল। তখন রাজ্য সরকার, বাংলার শাসক দল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সওয়াল করা হয়। কিন্তু বিজেপি-র আইনজীবী তাঁর সওয়াল শেষ করতে পারেননি। তাই মঙ্গলবার মামলার ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে জানতে পারেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় অসুস্থ। রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আদালতকে আবেদন হয়, কিছু একটা অন্তর্বর্তী রায় আদালত যেন ঘোষণা করে দেয়। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্য, যেহেতু মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হচ্ছে , তাই একজন বিচারপতি অনুপস্থিত থাকতে কোনও অন্তর্বর্তী রায় ঘোষণা করাও সম্ভব নয়। মামলার পরবর্তী শুনানি কবে হবে তাও এখনই বলা যাচ্ছে না।
নয়াদিল্লি থেকে এই বার্তা পেয়ে উদ্বেগে রয়েছে নবান্নও। কারণ, মামলার নিষ্পত্তি না হলে বহু জেলায় পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। নইলে পঞ্চায়েতের কাজ, আথির্ক বরাদ্দ ইত্যাদি বন্ধ হয়ে যাবে। এখন দেখার নবান্ন এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
Be the first to comment