মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রে প্রশাসক নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল পঞ্চায়েত দফতর

Spread the love
সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে পঞ্চায়েত মামলা। তাই বাধ্য হয়েই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রে প্রশাসক নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল পঞ্চায়েত দফতর। যে সব পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদেরও মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে সেখানেও নিযুক্ত করা হবে প্রশাসক।
বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে বিজেপি। ফলে নির্বাচনের সময়তেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই ৩৪ শতাংশ আসনে জয়ীদের শংসাপত্র দিতে নিষেধ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলে দিয়েছিলেন এই মামলার শুনানি হবে ৬৬ শতাংশ আসনের নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর।
কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার প্রায় তিন মাস পরেও শুনানি হয়নি সেই মামলার। শেষ দিনের শুনানির শেষে আদালত জানায় ১৭ অগাস্ট হবে রায় দান। তখন রাজ্যের তরফে জানানো হয় ৭ অগাস্ট পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। আবেদন করা হয় তার আগে  রায় দেওয়ার জন্য। তখনই বিচারপতিরা জানান ৬ অগাস্ট হবে রায় দান। কিন্তু সে দিনও পিছিয়ে যাওয়ায় ধোঁয়াশা তৈরি হয় বোর্ড গঠন নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি প্রশাসক বসানো হবে পঞ্চায়েতগুলিতে?
এর মধ্যেই আবার গত ১০ তারিখ সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয় ৮টি জেলা পরিষদ সহ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমিতির বোর্ড গঠনের কাজ শুরু হবে ১৬ অগাস্ট থেকে। তারপরেই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেসব পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হয়েছে সেখানে প্রশাসক বসানো হবে। এ ব্যাপারে নবান্ন থেকে ছাড়পত্র মিলেছে।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে আজ থেকেই। সুপ্রিম কোর্টের রায় আসা না পর্যন্ত বহাল থাকবেন প্রশাসকেরা। তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, কোর্টের গেরোয় আটকে থেকে যাতে উন্নয়নের কাজ থমকে না যায়, সেই কারণেই এই প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*